বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

চা-কে স্বাস্থ্যকর করে তুলবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ১১:২৮, ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | ২২

চা অনেকেরই জীবনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালের ঘুমে জড়ানো চোখ খোলা থেকে ঝিমিয়ে পড়া মেজাজকে চাঙ্গা করা, আড্ডার প্রিয় অনুষঙ্গ কিংবা একঘেয়েমি কাটানোর ওষুধ এই চা। রাজনীতির তর্ক-বিতর্কের সঙ্গীও এই চা। সবই হতে পারে চা খেতে খেতে।

কিন্তু সেই ধোঁয়া ওঠা গরম চা মাঝেমধ্যে বিপদও ডেকে আনতে পারে।
আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুধ চা। ঘন দুধে চায়ের পাতা ফুটিয়ে তাতে আদা, এলাচ মিশিয়ে তৈরি করা চায়ে এক চুমুক দিলে মন ভালো হয়ে যায় অনেকেরই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে তা এসিডিটিও ডেকে আনে।

অম্বল, বুকজ্বালা, গ্যাসের সমস্যা নিয়ে তখন কঠিন অবস্থা হয়। ওষুধ খাওয়া ছাড়া গতি থাকে না।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টরা জানাচ্ছেন, চায়ের স্বাদের সঙ্গে আপস না করেই অম্বলের সমস্যাকে বিদায় জানানো যাবে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি চা খেলে। বিশেষ পদ্ধতিতে তিনি নিজের বিকেলের চা-কে প্রদাহনাশক এবং অন্ত্র ভালো রাখার পানীয়তে পরিণত করেছেন।

কিভাবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
 
চিকিৎসক বলছেন, প্রথমেই যেটা বাদ দিতে হবে, তা হলো দুধ। কারণ তা থেকেই এসিডিটির ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। তুলনায় লাল চা খেলে এসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে। পাশাপাশি লাল চায়ে থাকা পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও নিজের কাজ করতে পারে।

পানি ফুটিয়ে তাতে চা পাতা ভিজতে দেওয়ার সময় কয়েকটি আদার টুকরা দিয়ে দিন।

এটি হজমে সাহায্য করবে।
২-১টি ছোট এলাচ থেঁতো করে এর মধ্যে দিন। এটি পেট ফাঁপার সমস্যা কমানোর পাশাপাশি, চিনি ছাড়াই চায়ে হালকা মিষ্টত্ব আনতে সাহায্য করবে।
একটি লবঙ্গ ফেলে দিন চায়ে। লবঙ্গে রয়েছে ইউজিনল, যা লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পরে ওই চা সামান্য ঠাণ্ডা হতে দিন। খুব গরম অবস্থায় না খেয়ে ঈষদুষ্ণ চায়ে অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে খান। তাতে কাজ হবে বেশি।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor