জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জার্মানি শাখার উদ্যোগে বার্লিনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) জার্মানির রাজধানী বার্লিনের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জার্মান বিএনপির সাবেক সভাপতি আকুল মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মান বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার।
বক্তারা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, দলীয় অবস্থান এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আকুল মিয়া বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ সতেরো বছরের নিপীড়নের কারণে দেশে ফেরার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত ছিলাম। প্রিয়জনের মৃত্যুর পরেও দেশে যেতে পারিনি। তখনকার এনএসআই, ডিজিএফআই ও আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার জীবননাশের হুমকি পেয়েছি।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গনি সরকার বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার রূপকার। স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ এনে দিয়েছেন। বিএনপি নেতা কাজী রেজাউল হক দিবসটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।
বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি জসীম শিকদার দলীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মাশরুর রহমান বাবলি, ইদ্রিস মিয়া, আনহার মিয়া, যুবদল নেতা মো. মাহবুবুর রহমান ও রুহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুহেব আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম সাগর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোসলেহ উদ্দিন, নিজাম দোকানদার, জীবন আহমেদ, সাইদুর রহমান সাইদ, রেদোয়ান আহমেদ, সোহেল, আসিফ, সাগর, সুমন, ইসমাইল, সাইফুলসহ বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
Publisher & Editor