মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বাজারের প্রায় সব পণ্যেই দেখা যাচ্ছে। তবে বাজার করার ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সময় আমরা না বুঝেই বেশি খরচ করে ফেলি। অথবা এভাবে বলা যায় যে, কিছু কৌশল করে বাজারের খরচ কমিয়ে আনা যেতে পারে। বাজার খরচ কম করার এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিকর খাবার রাখার উপায় রয়েছে। বাজার খরচ কমাতে এই টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন-
১. পরিকল্পনা করুন
পরিকল্পনা অনেকভাবে আপনার অর্থ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে। বাজারের তালিকা তৈরি করে নিলে তা আপনাকে অতিরিক্ত কেনাকাটা এড়াতে সাহায্য করে। গবেষকরা অনুমান করেন যে, পরিবারগুলো গড়ে তাদের কেনা খাবারের প্রায় ৩০% নষ্ট করে দেয়। তাই বাড়িতে কী আছে এবং কী না হলেই নয়, সেদিকে খেয়াল করে বাজারের তালিকা তৈরি করুন।
২. পরিবর্তন
সব সময় টাটকা ফল এবং শাক-সবজি বেশি খেতে হবে। এই খাবারগুলো খুব বেশি ব্যয়বহুল হবে না, সেইসঙ্গে এসব খাবারের মাধ্যমে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করার উপায় রয়েছে। আপনি যখন ফলমূল ও শাক-সবজি বেশি খাবেন তখন হিমায়িত, টিনজাত, প্যাকেটজাত খাবার, শুকনো ফল কিংবা জাঙ্কফুডের ওপর চাপ কমবে। তাই খাবারের তালিকায় এই পরিবর্তন নিয়ে আসার মানে হলো অর্থ সাশ্রয় করার এবং খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায়। এক্ষেত্রে দেশি ফলমূল ও মৌসমী শাক-সবজি বেছে নিন।
৩. ছাড়ের অপেক্ষা করুন
অনেক সময় বিভিন্ন পণ্যে ছাড় কিংবা বিভিন্ন অফার পাওয়া যায়। সেগুলো খুঁজতে চেষ্টা করুন। একটির সঙ্গে যদি একটি ফ্রি পাওয়া যায়, তাহলে তা দিয়ে প্রয়োজনীয় সময়ের দিগুণ পার করতে পারবেন। এতে আপনার অর্থ সাশ্রয় করা সহজ হবে। তবে কোনো পণ্যে ছাড় দিয়েছে বলেই প্রয়োজন না থাকার পরেও সেটি কিনতে যাবেন না, এতে খরচ কমার বদলে বেড়ে যাবে।
৪. প্রোটিন পুনর্বিবেচনা করুন
মাংস, হাঁস-মুরগি এবং সামুদ্রিক খাবারের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশ ব্যয়বহুল। মাংস বাদ না দিয়েও অর্থ সাশ্রয় করার কিছু স্মার্ট উপায় রয়েছে। অনেক উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন যেমন বিনস এবং টোফু, মাংসের চেয়ে সস্তা। মাংসের পরিমাণ কমিয়ে এনে এ ধরনের প্রোটিনযুক্ত খাবার কেনার মাধ্যমে কিছু অর্থ সাশ্রয় করতে পারেন।
৫. প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পাইকারি দরে কিনুন
সবকিছুর বেশি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, বরং তার অর্থ হলো বাজারের জন্য আগে থেকেই প্রচুর অর্থ ব্যয় করা। তবে যেসব খাবার বেশি প্রয়োজন হয়, সেগুলো পাইকারি দোকান থেকে কিনতে পারেন। এতে বাজার খরচ বেশ খানিকটা কমে আসবে। আবার যেসব জিনিস বারবার প্রয়োজন কিন্তু দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, সেগুলো একসঙ্গে বেশি না কেনাই উত্তম।
Publisher & Editor