বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

ডিম রান্না করার আগে ধোয়া জরুরি কেন, না ধুইলে কী হয়?

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ০৭ নভেম্বর ২০২৫ | ২০

আমরা অনেক সময় ডিম কেনার পর সেটি সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপত্তার দিকটা উপেক্ষা করি। দোকানে বিক্রি হওয়া প্যাকেটজাত ডিম যদিও জীবাণুমুক্ত এবং পরিষ্কার করা হয়, কিন্তু স্থানীয় বাজার বা ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে কেনা ডিম সরাসরি খামার থেকে আসে। যেখানে সাধারণত কোনো ধরনের জীবাণুমুক্তকরণ করা হয় না।

এর ফলে এই ডিমে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। কারণ এতে ময়লা ও পাখির পালকের মতো জিনিস লেগে থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ডিম ধোয়া কেন জরুরি

চিকিৎসকরা বলেন, স্থানীয় বিক্রেতা বা খোলাবাজার থেকে কেনা ডিম ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ডিম সাধারণত সংগ্রহের পর জীবাণুমুক্ত করা হয় না।

তারা আরো জানান, দোকানে বিক্রি হওয়া প্যাকেটজাত ডিম পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় ডিমের খোসায় ময়লা, পালক, এমনকি মলও লেগে থাকতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডিমের বাইরের খোলস শক্ত হলেও এটি ছিদ্রযুক্ত, ফলে সঠিকভাবে না ধুলে খোলসের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। তাই রান্নার আগে প্রবাহিত পানির নিচে আলতো করে ডিম ধুয়ে নিলে হাত, পাত্র বা খাবারে খোসার জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমে যায়।

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধে সতর্কতা

বিশেষজ্ঞদের মত, স্থানীয় বা বাড়ির পেছনের খামারের ডিমে সাধারণত সালমোনেলা, ই-কোলাই এবং ক্যাম্পিলোব্যাকটার নামের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো সাধারণত পাখির মল, নোংরা বাসা বা অপরিষ্কার পরিবহনের মাধ্যমে ডিমের খোসায় আসে।

এসব ময়লা যদি ডিমের ভেতরের অংশ বা রান্নার পাত্রে লেগে যায়, তাহলে খাদ্যবাহিত অসুখ হতে পারে—যেমন পেট ব্যথা, ডায়রিয়া বা জ্বর। তাই এই ডিম ধোয়া ও পরিষ্কারভাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা প্যাকেটজাত ডিম কেনার পরামর্শ দেন।

কারণ সেগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপদ।
স্থানীয় বনাম প্যাকেটজাত ডিম

চিকিৎসকরা বলছেন, দোকানে বিক্রি হওয়া প্যাকেটজাত ডিম কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে বিক্রি করা হয়। যেমন— পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত করা এবং মান অনুযায়ী বাছাই করা।

এই ডিম নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, যাতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে না পারে। অন্যদিকে স্থানীয় ডিম হয়তো তুলনামূলকভাবে তাজা, কিন্তু সেগুলো সাধারণত ধোয়া হয় না এবং স্বাভাবিক ঘরের তাপমাত্রায় রাখা হয়, যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।

তা ছাড়া খোলাবাজারে যেভাবে ডিম পরিবহন বা হাতবদল হয়, তা অনেক সময় স্বাস্থ্যবিধির মান মেনে চলে না।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor