পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ রোববার ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি অর্জনের অধিকারকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ইসলামাবাদ তেহরানের পাশে আছে।
ইসলামাবাদ সফররত ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে শাহবাজ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি অর্জনে পাকিস্তান ইরানের পাশে রয়েছে’।
রোববার (৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
দুই দিনের এই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের এই সমর্থনের ঘোষণা এল এমন এক প্রেক্ষাপটে, যখন ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখোমুখি, যা সাম্প্রতিক ইরান-ইসরাইল যুদ্ধেরও মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
ওই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একাধিক পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্র ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য চলতি আগস্টের শেষ নাগাদ ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এরই মধ্যে তেহরান ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ‘সোজাসাপ্টা’ পরমাণু আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আএইএ) আশা প্রকাশ করেছে, এই আলোচনা পরবর্তীতে ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় পরিদর্শন ফের চালুর পথ খুলে দিতে পারে।
২০১৫ সালের যে পারমাণবিক চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল, তাতে এখনো চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় তিন দেশ অংশীদার থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে সেখান থেকে সরে দাঁড়ায়।
তবে সেই চুক্তিকে ঘিরে নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা এগিয়ে আসছে—আগামী ১৮ অক্টোবর। এ দিন চুক্তি সম্পর্কিত জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের মেয়াদ শেষ হবে।
এই সময়ের মধ্যে ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া সক্রিয় না করা হলে জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞাই উঠে যাবে ইরানের ওপর থেকে। আর যদি সেই প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে—যার আওতায় হাইড্রোকার্বন, ব্যাংকিং ও প্রতিরক্ষা খাত পর্যন্ত পড়বে।
Publisher & Editor