বৃক্ষমেলার ১১০-১১১ নম্বর স্টলটা অন্যান্য স্টল থেকে ভিন্ন। কোয়ান্টাম ব্যাম্বুরিয়ানের এই স্টল ঘুরে বিচিত্র সব বাঁশের সংগ্রহ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন ক্রেতা–দর্শনার্থী। কিনছেন বাঁশজাত পণ্য। আর ফেরার পথে মুখে তুলে নিচ্ছেন বাঁশপাতায় বানানো এক কাপ চা। চা খেতে খেতে রসিকতা করে কেউ–বা আবার বলে উঠছেন, ‘শেষ পর্যন্ত বাঁশ খাইয়ে ছাড়লেন আপনারা!’
কোয়ান্টাম ব্যাম্বুরিয়ানের তত্ত্বাবধায়ক সাইফ উদ্দিন সাইফ জানান, বাঁশ পাতার এই পানীয়কে চীনে বলে ‘ব্যাম্বু লিফ টি’। এখানে ফাউন্টেন ও দেশি স্বর্ণা বাঁশের পাতা দিয়ে বানানো হচ্ছে চা। ব্যাম্বুরিয়ান স্টলে এসে যে কেউ বিনা মূল্যে খেতে পারবেন এই চা।
চা বানানোর প্রক্রিয়া
যেকোনো জাতের বাঁশপাতা দিয়েই এই চা বানানো সম্ভব। আমাদের দেশি বাঁশপাতা বেশ বড় আকারের হয়। তবে চা বানাতে তুলনামূলক কচি পাতা নিতে হবে। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে চুলায় পানিসহযোগে জাল দিতে হবে।
পানি টগবগ করে ফুটে ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে এলে কাপে ঢেলে পান করুন সদ্য বানানো বাঁশপাতার চা। চাইলে কিঞ্চিৎ আদা, চিনিও যোগ করতে পারেন।
পুষ্টিগুণ
বাঁশপাতার চায়ে আছে অরগানিক সিলিকা। ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই উপাদানের জুড়ি নেই। চায়ের এই সিলিকা ক্যালসিয়াম শোষণেও সাহায্য করে, ফলে হাড় ও সংযোগকারী টিস্যুকে শক্তিশালী করে। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
জাতীয় বৃক্ষমেলা শেষ হবে ২৭ জুলাই। তাই আর দেরি না করে এর মধ্যেই সময় বের করে ঘুরে আসতে পারেন বৃক্ষমেলা।
যা অবশ্যই মনে রাখবেন
এভারকেয়ার হাসপাতাল প্রিন্সিপাল ডায়টেশিয়ান তামান্না চৌধুরী বলেন, ‘চীন ও জাপানে এই বাঁশপাতার চা খাওয়া হয়। তবে এই পানীয়র উপকারিতা, অপকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বড় কোনো গবেষণা নেই। তবে গর্ভাবস্থায় বা ব্রেস্ট ফিডিংয়ের সময়, কিডনির কোনো সমস্যা থাকলে এ ধরনের পানীয় পান করা যাবে না। আর একটানা এ ধরনের পানীয় না খাওয়াই ভালো।’
Publisher & Editor