দীর্ঘ এক দশক ধরে টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলছেন সন হিউং-মিন। এবার নতুন ঠিকানায় পা রাখতে পারেন ক্রমেই স্পার্সদের একাদশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা দক্ষিণ কোরিয়ার এই সুপারস্টার। ফুটবলবিষয়ক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোরফোরটু জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল লস অ্যাঞ্জেলস এফসির (এলএএফসি) সঙ্গে তার প্রতিনিধিদের যোগাযোগ চলছে।
জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেন থেকে ২০১৫ সালে টটেনহ্যামে যোগ দেন ৩৩ বছর বয়সী সন। এরপর এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ৪৫০টির বেশি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে চোট ও দলীয় রদবদলের কারণে তার পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে মাত্র সাত গোল করেছেন সন। যা তার অভিষেক মৌসুমের পর সবচেয়ে কম।
টটেনহ্যামের বর্তমান অধিনায়ক সনের সম্ভাব্য দলবদল নিয়ে তাই বেশ জোরালো আলোচনা চলছে। এলএএফসির সঙ্গে আলোচনা এগোলেও তার পারিশ্রমিকের দাবি এখনো ক্লাবটির সামর্থ্যের বাইরে। এমএলএসের নির্ধারিত বেতনের সীমা থাকলেও ‘বিশেষ খেলোয়াড়’ নিয়মে প্রতি ক্লাব তিনজন খেলোয়াড়কে অধিক পারিশ্রমিকে সই করাতে পারে। যেখানে একটি অংশ লিগ থেকে দেওয়া হয়।
দীর্ঘ এক দশক ধরে টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলছেন সন হিউং-মিন।
সনের সম্ভাব্য পারিশ্রমিক হতে পারে কয়েক কোটি ডলার। বর্তমানে এমএলএসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া লিওনেল মেসির (২০.৫ মিলিয়ন ডলার) কাছাকাছি পারিশ্রমিক পেতে পারেন তিনি। এলএএফসির বর্তমান সর্বোচ্চ বেতনধারী খেলোয়াড় ডেনিস বুয়াঙ্গা বছরে ৩.৭ মিলিয়ন ডলার পান।
মার্কেটিংয়ের দিক থেকে সনের জনপ্রিয়তা বিশাল, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ায়। লস অ্যাঞ্জেলস শহরেই দক্ষিণ কোরিয়ার বাইরে সবচেয়ে বড় কোরিয়ান প্রবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে। যা এলএএফসির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে সনের বেতন কাঠামোর একটি অংশ তৃতীয় পক্ষ, যেমন স্পন্সর বা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে আসার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল।
Publisher & Editor