রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নিউইয়র্ক স্টেটে আসন্ন ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারী নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ (ব্রঙ্কস) থেকে এসেম্বলিম্যান পদে বাংলাদেশী কমিউনিটির একক প্রার্থী

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ |

নিউইয়র্ক স্টেটে আসন্ন ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারী নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ (ব্রঙ্কস) থেকে এসেম্বলিম্যান পদে বাংলাদেশী কমিউনিটির একক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন সিপিএ জাকির চৌধুরী। ২০ অক্টোবর সোমবার ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হলে ব্রঙ্কসে বসবাসরত বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি আয়োজিত এক ব্যতিক্রমী নির্বাচনী বিতর্ক ও ইলেকট্রনিক ভোটাভুটির তাকে একক প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়।এর মাধ্যমে নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে বসবাসরত বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি এক বিরল রাজনৈতিক ঐক্যের নজির স্থাপন করেছে। 

ব্রঙ্কস বাংলাদেশি কমিউনিটি-ইউনিফায়েড ক্যানডিডেট কমিটির এর উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠানে ৮৭তম অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্টের সম্ভাব্য তিন বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রার্থী জাকির চৌধুরী, জামাল হুসেইন ও ইমরান শাহ তাদের অভিজ্ঞতা, কমিউনিটির জন্য কাজ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই প্রাণবন্ত বিতর্কে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন লেখক, সাংবাদিক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শামীম আল আমিন। এ ছাড়া বিতর্কে ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল চৌধুরী, মোহাম্মদ এন মজুমদার এবংমাসুদ উর রহমান।

বিতর্ক শেষে ইলেকট্রনিক ভোটের মাধ্যমে মোট ৫৫ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করেন। প্রতিটি প্রার্থী নিজ নিজ পক্ষ থেকে ১০ জন করে ভোটার আমন্ত্রণ জানান, বাকি ২৫ জন ছিলেন আয়োজক কমিটির সদস্য। ভোট গণনার পর সিপিএ জাকির চৌধুরী বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণার পর বাকি দুই প্রার্থী ইমরান এম. শাহ ও জামাল হুসেইন— জাকির চৌধুরীকে অভিনন্দনের মাধ্যমে মেনে নেন এবং তাকে পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা দেন।

এই রাজনৈতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ দৃশ্যটি উপস্থিত সকলের জন্য ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক, যা অভিবাসী কমিউনিটিতে বিরল । বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ কমিউনিটির রাজনৈতিক ঐক্য ও শক্তিকে আরও সুসংহত করবে। অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র একটি বিতর্ক বা ভোটাভুটি নয়—বরং ছিল একটি উৎসবমুখর মিলনমেলা। প্রার্থীদের আন্তরিক অংশগ্রহণ, মডারেটরের দক্ষ পরিচালনাএবং সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে করে তোলে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বার বার সেখানে বলা হয়, এই বিতর্ক নিউ ইয়র্ক বোর্ড অব ইলেকশনের অন্তর্ভূক্ত কোন আয়োজন নয়। এটি ছিল সম্পূর্ণ কমিউনিটির নিজস্ব উদ্যোগে সংগঠিত। তবে গণতান্ত্রিক চর্চা ও রাজনৈতিক সচেতনতার দৃষ্টান্ত হিসেবে এটি অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই ঐতিহাসিক উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে কাজ করেছেন আব্দুস শহীদ, আহাদ আলী, কাওসারুজ্জামান কয়েস, আলমাস আলী, শেখ আল মামুন, ড. আব্দুস সবুর, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল মুমিন, রিয়াজ উদ্দিন কামরান, জুনায়েদ চৌধুরী, মাহবুব আলম, মোহাম্মদ আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী, আব্দুল হাশিম হাসনু, সৈয়দ শারফিন মোর্শেদ, ইব্রাহীম বারভূঁইয়া, ফরিদা ইয়াসমিন, মাসুদ উর রহমান, বিলাল ইসলাম, রওশন আরা নিপা, আহবাব চৌধুরী, চার্লি আকবর (আলী), মুজাম্মেল হোসেন মুরাদ এবং নুরুস সামাদ চৌধুরী। নিউইয়র্ক স্টেটে ৮৭তম ডিস্ট্রিক্টে বর্তমানে নির্বাচিত অ্যাসেম্বলিমেম্বার কারিনেস রেয়েস, যিনি ২০১৯ সাল থেকে এই পদে আছেন এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৯৪ শতাংশ ভোটে জয়ী হন। এবার তার বিপক্ষে লড়াইয়ে নামছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির সম্মিলিত সমর্থন পাওয়া প্রার্থী জাকির চৌধুরী সিপিএ।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor