ইআইএর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এবিসি নিউজ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চ নাগাদ বিদ্যুতের বিল আনুমানিক চার শতাংশ বাড়তে পারে। বেশ কয়েকটি কারণে এ শীতে অ্যামেরিকার বাড়ির মালিকদের বিদ্যুতের বিল বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-ইআইএর আউটলুক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইআইএর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এবিসি নিউজ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চ নাগাদ বিদ্যুতের বিল আনুমানিক চার শতাংশ বাড়তে পারে। অর্থের দিক থেকে সংখ্যাটি হতে পারে প্রায় এক হাজার ১৩০ ডলার।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অ্যামেরিকার প্রায় ৪৩ শতাংশ বাড়ি—মূলত দক্ষিণাঞ্চলের—গরম রাখা হয় বিদ্যুতের মাধ্যমে।
ইআইএর প্রাক্কলন অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের গড় মোট খরচ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় এক হাজার ৩০ ডলারে।
চলতি বছর বিদ্যুতের খরচে ঊর্ধ্বমুখিতা দেখছেন অ্যামেরিকার জনগণ। এর পেছনের কারণ হিসেবে ঝড় ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ব্যয় বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক গ্যাসের উচ্চ মূল্য, খুচরা বিদ্যুতের উচ্চ মূল্য, ইন্স্যুরেন্সের ক্রমবর্ধমান মূল্য এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই ডেটা সেন্টারগুলোতে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্লুমবার্গের একটি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভার্জিনিয়ার মতো কিছু এলাকায়—যেখানে এআই ডেটা সেন্টারগুলো রয়েছে—প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির খরচ ২৬৭ শতাংশ নাগাদ বেড়েছে।
ইআইএর প্রাক্কলন অনুযায়ী, শীতে যেসব বাসাবাড়ি বিদ্যুতের সাহায্যে গরম রাখতে হবে না, সেগুলোতে খরচ কমে যেতে পারে বা একই থাকতে পারে।
যারা প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে বাড়ি গরম রাখেন, তাদের গত শীতের মতো একই দাম দিতে হতে পারে বলে ইআইএর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তাদের গড়ে ৬৪০ ডলার করে দিতে হতে পারে।
Publisher & Editor