বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২০২০ সালে ৩০টি থ্রি-ডি প্রিন্টেড আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২৪ সালে উদ্ধার হয় ৩০০টিরও বেশি ব্যক্তিপর্যায়ে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র। বিগত কয়েক বছরে অ্যামেরিকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে থ্রি-ডি প্রিন্টারের সাহায্যে ব্যক্তিপর্যায়ে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বন্দুক সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আইউইটনেস নিউজ জানায়, বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে এ শঙ্কার কথা প্রকাশ করেন বিভিন্ন শহরের বন্দুক সুরক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, আইনপ্রণেতা ও থ্রি-ডি প্রিন্টিং শিল্পের মালিকপক্ষ।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তির ভাষ্য, থ্রি-ডি প্রিন্টারের দাম কমে যাওয়া এবং বন্দুকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের নকশা অনলাইনে সহজলভ্য হওয়ায় ব্যক্তিপর্যায়ে তৈরি করা অস্ত্রের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। এসব অস্ত্রে সিরিয়াল ট্র্যাকিং নম্বর না থাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড করলে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তারা জানান, অনলাইনে অস্ত্রের নকশা সরবরাহ করা বিভিন্ন ক্লাউড প্রতিষ্ঠানগুলো ফেডারেল ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ার-আর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস-এটিএফের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তাই নকশা সরবরাহ বন্ধে বাধা প্রদান করাও সম্ভব হচ্ছে না।
সমস্যা সমাধানে নতুন আইন প্রণয়ন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি রোধের উপায় বের করতে আলোচনা হয় সম্মেলনে।
অস্ত্র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সহিংসতা রোধে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ‘এভরি টাউন ফর গান সেফটি’ জানায়, ২০২০ সালে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩০টি থ্রি-ডি প্রিন্টেড আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২৪ সালে উদ্ধার হয় ৩০০টিরও বেশি ব্যক্তিপর্যায়ে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র।
Publisher & Editor