বর্তমান প্রজন্মের (মিলেনিয়াল ও জেন জি) বাবা-মায়েরা অনেক আগে থেকেই সন্তানের শিক্ষাজীবন শুরু করে দেন। অনেকেই দুই বছর বয়সের মধ্যেই সন্তানকে প্লে স্কুল বা কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করিয়ে দেন। প্রথমে স্কুল মানেই কান্নাকাটি হলেও, কিছুদিনের মধ্যে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয় শিশুরা। সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে যাওয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকার নির্দেশ মানা, প্রাথমিক লেখাপড়া— এসব ধীরে ধীরে শেখে তারা।
তবে শুধু স্কুলেই সবকিছু শেখা সম্ভব নয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বাবা-মাকেই দিতে হয়, বিশেষ করে স্কুলে ভর্তির আগেই। চলুন, জেনে নিই কী কী শেখাবেন।
শেয়ার করতে শেখান
‘শেয়ার ইজ কেয়ারিং’— এই মূল্যবোধটি ছোট থেকেই গড়ে তুলুন সন্তানের মধ্যে।
খেলনা, খাবার বা অন্য কোনো জিনিস প্রয়োজনে অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে শিশুর মধ্যে সহানুভূতি ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে।
জেদ, রাগ ও হাত তোলা— না শিখুক বাচ্চা
বায়না ধরা বা জেদ করা সব শিশুর স্বাভাবিক অভ্যাস হলেও, রাগ বা বিরক্তি থেকে কাউকে মারধর করা একেবারেই ঠিক নয়। এমনকি খেলাচ্ছলে গায়ে হাত দেওয়ার অভ্যাসও শিশুকে এখন থেকেই ভুলিয়ে দিন।
সততা শেখান
ছোট খাটো কথাতেও যেন মিথ্যে না বলে আপনার সন্তান। সততার বীজ ছোট বয়স থেকেই রোপণ করুন। না হলে ভবিষ্যতে বড় হয়ে সে বড় সমস্যায় পড়তে পারে। বাবা-মায়ের কাজ, ছোট থেকেই এই বিষয়ে নজর রাখা।
শ্রদ্ধাশীল হওয়া শেখান
ছোট-বড় সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন শেখানো জরুরি।
এই শিক্ষা সবচেয়ে আগে আসে পরিবার থেকেই। যাতে শিশু স্কুলে গিয়ে কিংবা বাইরে কারো প্রতি অসদাচরণ না করে, আর সবাইকে শ্রদ্ধা করতে শেখে।
নিজের কাজ নিজে করুক
নিজের কাজ নিজে করা শেখান ছোট থেকেই। নিজে খাবার খাওয়া, নিজের খেলনা বা বই ঠিকঠাক গুছিয়ে রাখা, কাপড়জামা সরিয়ে রাখা— এ সব কাজ শিশু যত দ্রুত নিজে করতে শিখবে, তত বেশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে।
এই পাঁচটি বিষয়ে সচেতনভাবে সন্তানকে গড়ে তুললে, বড় স্কুলে গিয়ে শিশুর মানিয়ে নেওয়া অনেক সহজ হবে। শুধু ভালো স্কুল নয়, ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ভিত্তিটাও তৈরি হবে ছোট বয়স থেকেই।
সূত্র : এই সময়
Publisher & Editor