রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সারা দেশ। দিনেরবেলা এমন নির্মম-নৃশংস ঘটনায় সবাই স্তম্ভিত।
সামাজিক মাধ্যমে সোহাগ হত্যার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের তারকারাও এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কঠোর বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোহাগের এ নির্মম ঘটনায় সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক কোনো এজেন্ডার ফাঁদে পা না দিতে সতর্ক করেছেন আলোচিত অভিনেতা ও মডেল সালমান মুক্তাদির।
শনিবার (১২ জুলাই) সামাজিক মাধ্যমে এক ফেসবুক পোস্টে সালমান মুক্তাদির লিখেছেন-যে ধর্ষণ আর হত্যাকাণ্ড আপনাকে কষ্ট দেয়, সেগুলো পাশের রাজনৈতিক লোকগুলোর কাছে আনন্দের খোরাক হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, শুধু কোনো জাতীয় সংকটে কেউ আপনার পক্ষে কথা বলছে বলে মনে করবেন না যে, তারা ন্যায়বিচারের পক্ষে আছে। তারা শুধু সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছে নিজেদের স্বার্থের জন্য। মানবতার জন্য নয়, সহমর্মিতার জন্য নয়।
এ অভিনেতা বলেন, চারপাশ চিনুন। যারা আপনার আবেগকে ব্যবহার করে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে চায়, তাদের ফাঁদে পা দেবেন না। তারা চায় আপনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ুন, আপনি অসহায় বোধ করুন। যাতে আপনি তাদেরকেই আপনার ত্রাণকর্তা হিসেবে ভাবেন। তিনি বলেন, শুধু রাজনৈতিক সংগঠনের পেছনে দৌড়াবেন না। আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত— অপরাধ এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। তারা কোন দলে সেটি মুখ্য নয়।
সালমান বলেন, সব অপরাধীই রাজনৈতিক নয়; কিন্তু আমরা হয়তো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যাচ্ছি— যদি আমাদের লক্ষ্য হয় শুধু একটা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে যাওয়া, তাহলে আমরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যাই। আমরা তখন প্রকৃত অর্থে অপরাধের বিরুদ্ধে নয়, বরং সেই দলের করা অপরাধের বিরুদ্ধেই সীমাবদ্ধ থেকে যাই। অথচ বাংলাদেশে প্রতিটি অপরাধীর শাস্তি হওয়া উচিত। প্রতিটি অপরাধ দিনের আলোয় আসা উচিত।
তিনি বলেন, যারা নিঃস্বার্থভাবে সবসময় আপনার পাশে থেকেছে, তাদের অনেকেই তাদের জীবন বা হাত-পা হারিয়ে ফেলেছে। যারা সত্যি দেশের ভালোর জন্য কাজ করতে চায়, তারা কখনো রাজনৈতিক ফলাফলের জন্য কাজ করে না।
এ অভিনেতা বলেন, সোহাগের ঘটনাটি ইন্টারনেটে আসতে দুদিন লেগে গেছে। আপনি বলছেন ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিএনপি, এনসিপি— কেউই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কিছুই জানল না, কেউ কিছু বলল না, অবস্থান নিল না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে তাদের লোকজনের কার্যকলাপের জন্য কেউ দায়ী করল না। অর্থাৎ এত বড় বড় সংগঠন থাকার পরও ফেসবুকের কিশোর-তরুণরাই সবচেয়ে আগে তথ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
Publisher & Editor