সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

এক দিনের ভ্রমণে ঘুরে আসতে পারেন লক্ষ্মণ সাহার জমিদার বাড়ি

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | ৪৮

রাজধানী ঢাকার খুব কাছেই, নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাংগা বাজারের পাশে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন, লক্ষ্মণ সাহার জমিদার বাড়ি, যা বর্তমানে স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘উকিলের বাড়ি’ নামে।

জমিদার বাড়ির ইতিহাস
দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন লক্ষ্মণ সাহা। তিনি একজন সাব-জমিদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন প্রধান জমিদারের অধীনে। লক্ষ্মণ সাহার তিন পুত্র; পেরিমোহন সাহা, নিকুঞ্জ সাহা ও বঙ্কু সাহা দেশভাগের সময় আলাদা আলাদা পথে চলে যান।

বঙ্কু সাহা দেশভাগের সময় ভারতে চলে যান। নিকুঞ্জ সাহাও পরে ভারতে চলে যান। শুধু পেরিমোহন সাহা রয়ে যান বাড়িতে। পরবর্তী সময়ে পেরিমোহনের ছেলে নারায়ণ সাহা এই জমিদার বাড়িটি বিক্রি করে দেন উকিল আহম্মদ আলীর কাছে।

সেই থেকেই বাড়িটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত হয় উকিলের বাড়ি নামে। বর্তমানে লক্ষ্মণ সাহার বংশধরের কেউ কেউ নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করছেন।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে : গুলিস্তান থেকে মেঘালয় বাসে পাঁচদোনা মোড় পর্যন্ত যান। এরপর জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়ায় ডাংগা বাজার।

ডাংগা বাজার থেকে রিকশা বা হেঁটে লক্ষ্মণ সাহার বাড়ি (দূরত্ব ১ কিমি)। বাসের হেলপারকে আগে থেকেই পাঁচদোনা মোড়ে নামার কথা জানিয়ে রাখুন।
টঙ্গী বা আবদুল্লাহপুর থেকে : কালীগঞ্জ পর্যন্ত লেগুনা বা বাসে আসুন। নদীঘাট থেকে নৌকায় পার হয়ে যান। ওপারে নেমে সিএনজি/অটোতে করে ডাংগা বাজার (দূরত্ব ৫ কিমি)

বনানী, মহাখালী বা উত্তরা থেকে : কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে ৩০০ ফিট রোড ধরে কাঞ্চন ব্রিজ পার হয়ে যান মায়ার বাড়ি মোড় পর্যন্ত।

সেখান থেকে অটোরিকশায় ডাংগা বাজার। বাজার থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে উকিলের বাড়ি।
খাবারের ব্যবস্থা
ডাংগা বাজারে স্থানীয় হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারেন।

অবসর সময়ে কাছাকাছি কোথাও ঐতিহাসিক আর কিছুটা অফবিট ঘুরে দেখতে চাইলে লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি (উকিলের বাড়ি) হতে পারে চমৎকার একটি গন্তব্য। প্রাচীন জমিদার আমলের স্থাপত্যের ছোঁয়া, ইতিহাস আর গ্রামীণ পরিবেশ মিলিয়ে এটি আপনার এক দিনের ভ্রমণে ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা দিতে পারে।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor