বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্কে ব্রঙ্কস বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে ৯/১১ এর ভিকটিমদের স্মরণ

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ |

নিউইয়র্কে ব্রঙ্কসের সংগঠনের অংশগ্রহণে “ব্রঙ্কস বাংলাদেশি কমিউনিটি”র উদ্যোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর  বৃহস্পতিবার ৯/১১ এর ভিকটিমদের স্মরনে এক সভা অনুস্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম অব বাংলাদেশী কমিউনিটি ইনক্ এর উপদেষ্টা হাসান আলী। অনুস্ঠান উপস্হাপনা করেন কাজী রবিউজজামান ও মোঃ শামিম মিয়া।

শুরুতে বিশ্ব শান্তি ও ৯/১১ ভিকটিমদের স্মরনে দোয়া পরিচালনা করেন, ব্রঙ্কস বাংলাবাজার জামে মসজিদের  ইমাম ও খতিব আবুল কাশেম ইয়াহিয়া। তিনি শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। গীতা পাঠ করেন কবি সুধাংশু কুমার মন্ডল। অনুস্ঠানের শুরুতে শহিদের স্মরনে নিরাবতা পালন করা হয়, এরপর দাঁড়িয়ে আমেরিকান জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। ২০০১ সালে ১১ ই সেপ্টেম্বর ভয়াবহ ঘটনার সৃতিচারন করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোতাসিম বিল্লাহ তুষার।

১১ সেপ্টেম্বরের হামলা যা নাইন/ ইলেভেন নামে পরিচিত।২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ৪টি ছিনতাইকৃত বিমান যোগে যুক্তরাষ্ট্রের উপর আল কায়েদা আত্মঘাতী হামলা করে। ঐ হামলায় ২,৯৯৭ জন নিহত, ৬ হাজার এর অধিক মানুষ আহত হন এবং অবকাঠামো ও সম্পদ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১১ সেপ্টেম্বর দিনটির গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সিনেটর ন্যাথালিয়া ফর্নান্ডেজ, ডিস্ট্রিক্ট ৩৪। বিশেষ অতিথি চীপ কমান্ডিং অফিসার ইন্সপেক্টর তাউই থিয়েনথং, প্রিসেন্ট ৪৩ং।  প্রিসেন্ট ৪৩ পুলিশ অফিসার ক্যাপটেন ব্লান্কো, আব্দুস শহীদ সভাপতি, আমেরিকান বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইনক্। বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কস ইনকের সভাপতি শামিম আহমেদ, সাবেক সভাপতি সামাদ জাকারিয়া, কাজী রবিউজজামান, বিজয় কৃষ্ন সাহা,আশফাকুল হক চৌধুরী,রায়হান পারভেজ, দিপংকর দেব, সুরজিত কিশোর দাস চৌধুরী, শফিকুর রহমান। জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার ইনক্ এর ভাড়প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম।

সৃতিচারন করে বক্তব্য রাখেন মাহবুব আলম সভাপতি,ফেনচুগন্জ অর্গানাইজেশন অব আমেরিকা ইনক্। আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু, সাধারন সম্পাদক বিএসিসি, এম এ মুহিত সাবেক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কস ইনক্। মোহাম্মদ শামিম মিয়া সাধারণ সম্পাদক ব‍্যান্ডস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাবাজার বিজনেস এসোসিয়েশনের সভাপতি,আব্দুল চৌধুরী জাকি।এ রব দলা মিয়া চেয়ারম্যান, আনোয়ারুন নাহার ফাউন্ডেশন। কামরুল হাসান সিইও হাসান ট‍্যাক্সি সার্ভিস। খলিল ফুড ফাউন্ডেশনের সিইও খলিলুর রহমান, সাইদুর রহমান লিংকন, সভাপতি , হৃদয় বাংলাদেশ। কমিউনিটি এক্টিভিস্ট নূরে-আলম-জিকু, শ‍্যামল কান্ত চন্দ, জামাল উদ্দিন আহমেদ, কামরুজ্জামান, মেসবাহ আহমেদ। ৯/১১ দিনটির সৃতিচারন করে আরো বক্তব্য রাখেন, মুলধারার রাজনীতিবিদ ইমরান শাহ রন, ডিটেক্টিভ (অব:) মাসুদ রহমান, জামাল হোসাইন, জাকির চৌধুরী সিপিএ, প্রফেসর ছানাউল্লাহ্।ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইনক্ এর সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নিউইয়র্ক স্টেট কমান্ড ইউ.এস.এ. ইনক্ এর কমান্ডার মনজুর আহমেদ, ডিপুটি কমান্ডার আবু জাফর, উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী,বীর মুক্তিযোদ্ধাসরকার আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ নাসির, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহানগীর আলম। সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক্।

মৌলভীবাজার জেলা সমিতি ইনক্ এর উপদেষ্টা, মিয়া মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন। গ্রেটার সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতি ইউএসএ ইনক্ এর সাধারণ সম্পাদক,জহির উল ইসলাম। সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী ইউ.এস.এ ইনক্ এর সাধারণ সম্পাদক লস্কর মইজুর রহমান জুয়েল,জালাল সরদার কমিশনার, মন্জুর বিপ্লব। ডা. মোক্তার আহমেদ ও মেজর (অব:) রাশেদুল ইসলাম ডিরেক্টর, নিউ ইয়ার্ক সিটি বিংহ‍্যামটন কর্পোরেশন। কুমিল্লা সোসাইটি ইনক্ এর মিয়া মোহাম্মদ দাউদ সাবেক সভাপতি, এইচ এম মিজানুর রহমান সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সাজুফতা সাহিত্য ক্লাবের সিইও কবি জুলি রহমান, কবি আবু তাহের চৌধুরী। সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম অব বাংলাদেশী কমিউনিটি ইনক্ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম,বাবুল তালুকদার,কবি সুধাংশু কুমার মন্ডল, আজিজুল হক, মকবুল মিয়া, মতিউর রহমান, কর্পোরাল (অবঃ)আব্দুল মতিন, এ‍্যাডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন মন্ডল, শহিদুল্লাহচৌধুরী, আবু কয়সর চৌধুরী, আতিকুর রহমান, সাইদ ইসলাম প্রমুখ।

যুক্তরাষ্ট্রে এই দিনটি ‘প্যাট্রিয়ট ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং নীরবতা পালন করা হয়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সকালে চারটি বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে আত্মঘাতী হামলা চালায় আল-কায়েদা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা। নিউইয়র্ক শহরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে দুটি বিমান আঘাত হানে, আরেকটি বিমান পেন্টাগনে বিধ্বস্ত হয়, এবং চতুর্থটি পেনসিলভানিয়ার শ্যাঙ্কসভিলে বিধ্বস্ত হয় যাত্রীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলায়। এই হামলায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হন এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হন। এ ছাড়া অসংখ্য উদ্ধারকর্মী প্রাণ হারান কিংবা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েন।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor