ইসরায়েলকে ৫১ কোটি ডলারের বোমার সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন আমেরিকার

এই অনুমোদন ইসরায়েলের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। ইসরায়েলের কাছে ৫১ কোটি ডলার মূল্যের বোমার সরঞ্জাম বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অ্যামেরিকা। সরঞ্জামগুলোর মধ্যে যে কোন হামলায় বোমাকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য ব্যবহৃত ‘বম্ব গাইডেন্স কিটও রয়েছে।

ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গোলাবারুদ ও অস্ত্র ব্যবহার করার পর অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেয়া হল। অনুমোদনের বিষয়ে ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রস্তাবিত এই বিক্রি ইসরায়েলকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় সাহায্য করবে। ইসরায়েলের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মানুষের বসতিকে ভালোভাবে সুরক্ষা করতে পারবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অ্যামেরিকা ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সক্ষমতা যেন দৃঢ় ও প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিত করা অ্যামেরিকার জাতীয় স্বার্থের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্টেইট ডিপার্ট্মেন্ট ইসরায়েলের কাছে এসব সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে এবং ডিএসসিএ বিষয়টি কংগ্রেসকে জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কংগ্রেস এখনো অনুমতি দেয়নি বলে দ্য হিন্দুর প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে গত ১৩ জুন দেশটির পারমাণবিক কেন্দ্র, বিজ্ঞানী ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। তেহরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য বেসামরিক। তবে অ্যামেরিকা এবং এর মিত্রদের বিশ্বাস ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায়।

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেন। তবে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার জন্য তিনি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি কখনোই তেহরানকে আবারও পারমাণবিক স্থাপনা গড়ে তুলতে দেবেন না। এতে ভবিষ্যতে আবার সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।