কিছুদিন আগেও জোহরান মামদানি ছিলেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনসভার (স্টেট অ্যাসেম্বলি) এক অখ্যাত সদস্য। গত বছর তিনি যখন মেয়র পদে নিজেকে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন, তখন তিনি ছিলেন এক তরুণ আইনপ্রণেতা, যার পরিচিতি ছিল খুব সীমিত। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র প্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে যান, হারান এমন সব পরিচিত ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের, যাঁদের নিউইয়র্ক নগরের ভোটারদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল। জোহরান মামদানি এখন ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী।
উগান্ডা থেকে কুইন্স
জোহরান মামদানি জন্মেছেন উগান্ডার কাম্পালায়। সাত বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে নিউইয়র্কে চলে আসেন। তিনি নিউইয়র্কের বিখ্যাত ব্রঙ্কস হাইস্কুল অব সায়েন্সে পড়াশোনা করেন। পরে বোডইন কলেজে আফ্রিকানা স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানেই তিনি ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন’ নামের একটি ছাত্রসংগঠনের ক্যাম্পাস শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
এই তরুণ প্রগতিশীল রাজনীতিক হতে চলেছেন নিউইয়র্ক নগরের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় মেয়র। তিনি শহরের বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছেন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারের একটি ভিডিও ছিল পুরোপুরি উর্দু ভাষায়। তাতে বলিউড সিনেমার ক্লিপও ছিল। আরেক ভিডিওতে তিনি স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেন।
মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজি, ২৭ বছর বয়সী একজন সিরীয় শিল্পী। তাঁদের পরিচয় হয়েছিল ডেটিং অ্যাপ ‘হিঞ্জ’-এর মাধ্যমে।
মামদানি নিজেকে জনগণের প্রার্থী ও একজন সংগঠক হিসেবে তুলে ধরেন। তাঁর স্টেট অ্যাসেম্বলি প্রোফাইলে লেখা আছে, ‘জীবন নানা দিকে মোড় নিয়েছে—কখনো সিনেমা, কখনো র্যাপ, কখনো লেখালেখির দিকে। তবু সংগঠন করাই তাঁকে হতাশার বদলে কর্মের দিকে নিয়ে গেছে।’
রাজনীতিতে আসার আগে জোহরান কুইন্সে কাজ করতেন গরিব গৃহমালিকদের জন্য। তাঁদের উচ্ছেদ ঠেকাতে আইনি সহায়তা দিতেন তিনি। মুসলিম হওয়াকেও তিনি গর্বের সঙ্গে প্রচারণার অংশ করেছেন। তিনি নিয়মিত মসজিদে গেছেন এবং নিউইয়র্ক শহরে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংকট নিয়ে বাংলা-উর্দুসহ বিভিন্ন ভাষায় ভিডিও করেছেন।
জোহরানের প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিলেন পরিচিত, অভিজ্ঞ এবং ভোটারদের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িত। তবু তাঁদের হারিয়ে এগিয়ে গেছেন মামদানি। তাঁর প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সংকট। বিশেষত মাথা গোঁজার ঠাঁই ও শিশু দেখাশোনার মতো খরচ দিন দিন যেভাবে বেড়েছে, সেটাই ছিল তাঁর ভাষ্যের মূল সুর।
নতুন মুখ, অল্প অভিজ্ঞতা
২০২০ সালে মামদানি প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত করেন। চারবারের অ্যাসেম্বলি সদস্যকে হারিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। তিনি ডেমোক্রেটিক সোশালিস্টস অব আমেরিকার নিউইয়র্ক শাখার সদস্য হয়ে ওঠেন। আলবানিতে তাঁর তোলা এজেন্ডাগুলো তাঁর প্রচারের সঙ্গেই মেলে।
চার বছরে জোহরান প্রায় ২০টি বিল পেশ করেছেন। এর মধ্যে মাত্র তিনটি আইনে পরিণত হয়েছে, তা–ও অপেক্ষাকৃত ছোট পরিসরের। তবে এক বছরের জন্য চালু করা একটি ফ্রি বাস প্রকল্প নিয়ে তিনি গর্ব করে বলতেন। যদিও পরবর্তী সময়ে সেটি আর নবায়ন হয়নি। তাঁর সহকর্মীরা বলেন, তাঁর চিন্তাভাবনা আইনসভাকে কিছুটা বাঁ দিকে সরিয়েছে।
আলবানিতে জোহরান ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ অ্যাসেম্বলি সদস্যদের একজন। মেয়র নির্বাচিত হলে ১৯১৭ সালের জন মিচেলের পর তিনি হবেন নিউইয়র্কের সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র, তাঁর বয়স এখন ৩৩। এই তারুণ্যই প্রগতিশীল ভোটারদের বড় অংশকে তাঁর দিকে নিয়ে এসেছে। তাঁর অভিজ্ঞতা কম—এই অভিযোগ বারবার তুলছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
ইসরায়েল-গাজা নিয়ে অবস্থান
ইসরায়েল সরকার ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাদের আচরণ নিয়ে জোহরানের বক্তব্য বরাবরই কঠিন। ২০২৩ সালে তিনি একটি বিল আনেন, যাতে ইসরায়েলি দখলদারি বসতির সঙ্গে যুক্ত দাতব্য সংস্থাগুলোর করছাড় বাতিলের প্রস্তাব ছিল। বিলটি আইনসভার নেতৃত্বের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মনে হওয়ায় অগ্রসর হয়নি।
জোহরান গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বয়কট (বর্জন), বিনিয়োগ প্রত্যাহার (ডিসইনভেস্টমেন্ট) ও নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেন, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় বিডিএস আন্দোলন। এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের দাবিও তুলেছিলেন।
তবে জোহরান পরিষ্কার করে বলেছেন, নিউইয়র্কে ইহুদিবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে ঘৃণাজনিত অপরাধ দমনে বরাদ্দ বাড়াবেন। তিনি মনে করেন, ইসরায়েলবিরোধিতা আর ইহুদিবিদ্বেষ এক নয়।
প্রচারের শেষ দিকে বিষয়টি একটি বড় বিতর্কে রূপ নেয়। এক পডকাস্টে তাঁকে ‘গ্লোবালাইজ দ্য ইনতিফাদা’ স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি তা নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ না করায় বিতর্ক তীব্র হয়। ফিলিস্তিনপন্থীরা একে স্বাধীনতার ডাক বলেন। আর অনেক ইহুদি একে দেখেন সহিংস প্রতিরোধের আহ্বান হিসেবে।
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নির্বাচিত হলে জোহরান হবেন নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র। তাঁর প্রার্থিতায় উৎসাহিত হয়েছেন শহরের প্রায় ১০ লাখ মুসলিম।
প্রাথমিক বাছাইয়ের প্রচারে জোহরান নিয়মিত মসজিদে গিয়েছেন। নিজের ধর্মবিশ্বাসকে সামনে এনেছেন। প্রথম ভিডিওতেই তিনি বলেন, হালাল কার্ট থেকে খাবারের দাম বেড়ে চলেছে। আরেকটি ভিডিওতে তাঁকে দেখা যায়, রোজা ভাঙছেন সাবওয়ের ভেতরে একটি বড় বারিটো খেয়ে।
সামাজিক মাধ্যম যুগের প্রার্থী
এক ভিডিওতে দেখা যায়, জোহরান আটলান্টিক মহাসাগরের ঠান্ডা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন। বার্তাটা ছিল—বাসাভাড়া ফ্রিজ করতে হবে।
জোহরান প্রচুর পডকাস্টে গেছেন। তাঁর প্রচার ছিল সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক, পরিকল্পিত ও দক্ষভাবে। তাঁর ভিডিওগুলো সহজ, খোলামেলা আর মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরিতে সক্ষম। এই প্রচার তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে কেবল নিউইয়র্ক নয়, গোটা দেশের তরুণদের কাছেও।
জোহরানের প্রতিদ্বন্দ্বী ৬৭ বছর বয়সী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর প্রচারে এই আন্তরিকতার অভাব ছিল। দলীয় বাছাই নির্বাচনের ঠিক আগের দিন জোহরান হেঁটে পার হন পুরো ম্যানহাটান। আর পথে পথে ভোটারদের সঙ্গে তোলেন সেলফি।
সহজ কথায় বড় চিন্তা
জোহরানের জয়ের বড় কারণ তাঁর সরল অথচ সাহসী পরিকল্পনা। তিনি বড় অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোকে ব্যাখ্যা করেছেন সহজ ভাষায়। তিনি নিজেকে বলেন ‘ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট’। তাঁর মূল প্রতিশ্রুতি ছিল, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রিত থাকবে, বাস হবে ফ্রি, ধনীদের ওপর কর বাড়বে এবং শিশু দেখাশোনার খরচ হবে শূন্য।
এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন কঠিন, সেটি জোহরানও জানেন। তবে তাঁর সহজ উপস্থাপন মানুষকে আকর্ষণ করেছে। নিউইয়র্কবাসী এমন একজনকে চাইছেন, যিনি জানেন ছোট ফ্ল্যাটে থাকাটা কেমন কিংবা প্রতিদিন সাবওয়ে চেপে কাজে যাওয়া কী রকম।
বাবা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিন্তাবিদ, মায়ের পরিচয় বিশ্ব চলচ্চিত্রে
জোহরান মামদানির বাবা মাহমুদ মামদানি, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান অধ্যাপক। তিনি আফ্রিকান ইতিহাস, ঔপনিবেশিকতা ও জাতিসত্তা বিষয়ে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত গবেষণা করেছেন। তাঁর বই ‘সিটিজেন অ্যান্ড সাবজেক্ট’ এবং ‘হোয়েন ভিকটিমস বিকাম কিলারস’ শিক্ষাজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
জোহরানের মা মীরা নায়ার ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘সালাম বম্বে’, যা অস্কারে মনোনীত হয় এবং ‘মনসুন ওয়েডিং’ ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার গোল্ডেন লায়ন জিতে নেয়।
‘দ্য নেমসেক’, ‘কুইন অব কাটউই’-এর মতো চলচ্চিত্রে মীরা অভিবাসন, পরিচয় সংকট ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের গল্প বলেছেন গভীর মানবিকতায়।
মায়ের ভিজ্যুয়াল ভাষা ও সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি জোহরানের প্রচারের উপস্থাপনাতেও পরোক্ষভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
জোহরান ও ‘দ্য নেমসেক’
মীরা নায়ারের অন্যতম প্রশংসিত ও শিল্পগুণে সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র ‘দ্য নেমসেক’। ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সিনেমার মূল চরিত্র গোগোলের জন্য অভিনেতা কাল পেনকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে জোহরান মামদানি। নতুন করে এই সাক্ষাৎকার আবার আলোচনায় এসেছে। সেখানে মীরা বলেন, কীভাবে মজার ও পাগলাটে এই অভিনেতাকে তিনি সিরিয়াস চরিত্রে নিয়েছিলেন।
মীরার ছেলে জোহরান তখন মাত্র ১২-১৩ বছরের। তখন তিনি সিনেমার জন্য পরিচিত কোনো তারকাকে খুঁজছিলেন। জোহরান তাঁকে বলেন ‘হ্যারল্ড অ্যান্ড কুমার গো টু হোয়াইট ক্যাসেল’ নামের একটি সিনেমা দেখতে। ছবির পোস্টার দেখে মীরার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘এই ছেলেকে আমি কীভাবে পছন্দ করব?’ তবু তিনি ছেলের কথায় সিনেমাটি দেখেন এবং পছন্দ করেন। এরপর তিনি কাল পেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পরে তাঁকেই চরিত্রটির জন্য নির্বাচন করেন।
কাল পেন তখন একজন কমেডি অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কেউ তাঁকে সিরিয়াস ড্রামার মূল চরিত্র হিসেবে ভাবেননি। মীরা জানান, জোহরানের এই পরামর্শ ছিল দারুণ ও মূল্যবান। তিনি শুধু অভিনেতা নির্বাচনেই নয়, পুরো সিনেমা নির্বাচনেও মায়ের সিদ্ধান্তে প্রভাব রেখেছিলেন। যখন মীরা নায়ার হ্যারি পটার সিরিজের একটি সিনেমা পরিচালনার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, তখন জোহরান তাঁকে ‘দ্য নেমসেক’-এ কাজ করার পরামর্শ দেন।
ছোট বয়সেই জোহরান তাঁর মায়ের সৃজনশীল সিদ্ধান্তগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।
র্যাপার থেকে রাজনীতিক
জোহরান মামদানি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলো ছড়ানোর অনেক আগে ছিলেন একজন র্যাপার। দিনে তিনি কাজ করতেন ঋণগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের জন্য, আর অবসরে করতেন গান। তাঁর মঞ্চনাম ছিল ‘ইয়াং কার্ডামম’, পরে ‘মি. কার্ডামম’ নামে পরিচিত হন।
২০১৯ সালে জোহরানের একটি গান ‘নানি’ নতুন করে ভাইরাল হয়। এই গান তিনি বানিয়েছিলেন তাঁর দাদি প্রবীণ নায়ারকে উৎসর্গ করে। গানের ভিডিওতে দাদির চরিত্রে ছিলেন বিখ্যাত রাঁধুনি ও অভিনেত্রী মাধুর জাফরি। এই ভিডিও ইউটিউবে দেখা হয় প্রায় দুই লাখ বার, আর গানটি স্পটিফাইয়ে শোনা হয় ৪৩ হাজারের বেশি বার।
২০১৫ সালে জোহরানের বন্ধু র্যাপার এইচএবির সঙ্গে বের করেন গান ‘কান্ডা (চ্যাপ চ্যাপ)’। এরপর ২০১৬ সালে তাঁরা একটি ইপি প্রকাশ করেন সিদ্দা মুক্যালো, যার অর্থ ‘আর গ্রামে ফেরা যাবে না’। এক সাক্ষাৎকারে জোহরান বলেন, ‘আমি একজন এশীয়-উগান্ডান। আমার কোনো গ্রাম নেই, শহরই আমার সব।’
এই ইপিতে জোহরানরা ছয়টি ভাষায় গান করেন। ‘আসকারি’ নামের একটি গানে তাঁরা তুলে ধরেন বর্ণবাদবিষয়ক অভিজ্ঞতা, যেখানে নিরাপত্তাকর্মীরা শ্বেতাঙ্গদের দ্রুত প্রবেশ করতে দেয়, কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ বা অন্য বর্ণের মানুষ হলে দেরি করে।
২০১৬ সালে জোহরান ডিজনির চলচ্চিত্র ‘কুইন অব কাটউই’-এর সাউন্ডট্র্যাকের জন্য তৈরি করেন নাম্বার ওয়ান স্পাইস। এ গানে তিনি ও এইচএবি র্যাপ করেন, ভিডিওতে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন লুপিটা নিয়ংগো। মজার ছলে জোহরান বলেন, ‘নেপোটিজম আর কঠোর পরিশ্রম—দুটোই কাজে লাগে।’
সব মিলিয়ে জোহরান মামদানি ছিলেন একজন সংগঠক, র্যাপার, চিন্তাশীল তরুণ, যিনি একাধারে সংস্কৃতি, প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর পারিবারিক পটভূমি, সামাজিক অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীল সাহসিকতা তাঁকে তৈরি করেছে নিউইয়র্ক নগরের মঞ্চে এক ব্যতিক্রমী প্রার্থী হিসেবে। র্যাপ গান থেকে বিতর্কমঞ্চ—সব জায়গাতেই তাঁর কণ্ঠ স্পষ্ট ও দৃঢ়। তাই অনেকেই বলছেন, নিউইয়র্কের পরবর্তী মেয়রের কণ্ঠটা এ সময়ের মতোই—প্রগতিশীল, সাহসী ও নতুন।
Publisher & Editor