বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

মেসিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন ৯৮ বছর বয়সী নারী

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ২৬ জুন ২০২৫ |

ঘটনাটা ঢাকায় ইন্ডিপেনডেন্স কাপে। পাকিস্তানের ম্যাচে বর্তমান জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এক তরুণীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড তখন বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ‘আফ্রিদি প্লিজ ম্যারি মি’—এই ছিল প্ল্যাকার্ডের বিষয়বস্তু।
খেলাধুলায় এটা নতুন কিছু না। ১৯৯৮ সালে ইন্ডিপেনডেন্স কাপের শহীদ আফ্রিদির প্রতি এক ভক্তের সেই আহ্বানের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, পরেও ঘটেছে। এখন তো ব্যাপারটা অনেকটাই ডাল-ভাতের মতো। পছন্দের তারকা খেলোয়াড়ের প্রতি কারও এমন আহ্বান দেখে এখন আর আগের মতো কেউ হয়তো গা করেন না। কিন্তু লিওনেল মেসির সঙ্গে যেটা ঘটেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো তা ভাইরাল।

মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গত পরশু বাংলাদেশ সময় সকালে পালমেইরাসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ওঠে ইন্টার মায়ামি। এ ম্যাচে গ্যালারিতে ৯৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মেসিকে প্ল্যাকার্ডে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্ল্যাকার্ডে লিখে আনেন, ‘মেসি উইল ইউ ম্যারি মি?’

ম্যাচের বিরতির সময় মাঠে ছিলেন মেসি। তখন সেই বৃদ্ধা গ্যালারি থেকে মায়ামি তারকার প্রতি প্ল্যাকার্ডটি উঁচিয়ে ধরে তাঁকে ডেকেছেন এবং বিয়ের কথাও বলেছেন। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিও দূর থেকে ইতিবাচকভাবে মিষ্টি হাসিতে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে হাতের ইশারায় তাঁকে প্ল্যাকার্ডটি নামিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত করেন। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৯৮ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার নাম পলিন কানা। যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রীড়াপ্রেমী নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। খেলাধুলার বড় ইভেন্টে নাতি রস স্মিথের ভিডিওতে দেখা যায় তাঁকে।

রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার, তাঁর মজার সব টিকটক ভিডিওতেও পলিনকে অংশ নিতে দেখা যায়। টিকটকে ২ কোটি ৩০ লাখ অনুসারী রয়েছে রস স্মিথের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পলিনকে অনেকেই ‘গ্রানি স্মিথ’ নামে ডাকেন। এনএফএল এবং ডব্লুডব্লুইর ম্যাচেও দুজনকে ভিডিওতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

মেসিকে পলিনের বিয়ের প্রস্তাবের এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই মজার সব মন্তব্য করেছেন। ইনস্টাগ্রামে একজন লিখেছেন, ‘তার (পলিন) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আন্তোনেল্লাও পারবে না।’ বেশির ভাগই পলিনের উৎসাহ ও মজা করার মানসিকতার প্রশংসা করেছেন। আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো মেসির স্ত্রী। প্রেমের পরিণতি হিসেবে ২০১৭ সালে বিয়ে করেন দুজন। তাঁদের তিনটি সন্তান আছে।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor