যৌন হয়রানির ফৌজদারির মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার রাউল আসেনসিও এবং ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দলের সাবেক তিন খেলোয়াড়। এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক নারী এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়ের যৌনতার ভিডিও ধারণ করে তাঁদের অনুমতি ছাড়াই তা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
ইএসপিএন জানিয়েছে, রিয়ালের বয়সভিত্তিক দলে আসেনসিওর তিন সাবেক সতীর্থ আন্দ্রেস গার্সিয়া, ফেরান রুইজ ও হুয়ান রদ্রিগেজ সেই নারী এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের যৌনতার দৃশ্য ধারণ করেন। আসেনসিও সেই ভিডিও তাঁদের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে এই ঘটনা ঘটে।
তদন্ত শেষে স্পেনের কানারি দ্বীপপুঞ্জের হাইকোর্ট গতকাল এই চার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের ফলে কৌঁসুলির কার্যালয় এখন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আবেদন করতে পারবে।
বিচারকের মতে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন, বাদীকে না জানিয়ে কিংবা তাঁর অনুমতি না নিয়ে তৃতীয় পক্ষের কাছে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া, পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ককে রাজি করানো এবং শিশুর পর্নোগ্রাফির ভিডিও নিজের কাছে রাখা—আসেনসিও, গার্সিয়া, রুইজ ও রদ্রিগেজের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এই চার খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করে তাঁদের ফোন জব্দ করেছিল পুলিশ। রিয়ালের পক্ষ থেকে তখন নিশ্চিত করা হয়েছিল, ‘ব্যক্তিগত ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করার’ প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কানারি দ্বীপপুঞ্জে ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের মা অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ করায় ওই চার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নিজের ভূমিকা নিয়ে পুলিশের তদন্ত বন্ধ করতে আবেদন জানিয়েছিলেন আসেনসিও।
২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার যৌনতার ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কি না, এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশ শুরু হওয়া তদন্ত বন্ধের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন আসেনসিও। গতকাল রাতে লা লিগায় মায়োর্কার বিপক্ষে রিয়ালের ২–১ গোলে জয়ের ম্যাচেও তিনি শুরুর একাদশে ছিলেন।
Publisher & Editor