সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল রোববার

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ৩১ মে ২০২৫ | ১০

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে ‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার কর’ শীর্ষক জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চিফ প্রসিকিউটর এ কথা জানান। আলোচনা সভার আয়োজন করে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।

শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ বলে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর। বিচারের ক্ষেত্রে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে বলে জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিচারের কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে। এ সময় ১০ থেকে ১৫টি উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, জুন মাসের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে।

তিনি জানান, বিচারের ক্ষেত্রে তারা খুবই সাবধানতা অবলম্বন করছেন। বিচারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করা, মানবাধিকার রক্ষা করা, বিচারের নামে অবিচার যাতে না হয়; যেগুলো অতীতে হয়েছে, সেগুলো যেন না হয়- সে বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন।

জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে রোববার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে চিফ প্রসিকিউটর জানান।

গত ১২ মে শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত শেষ হয়। ওইদিন এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলনে নির্বিচারে ১৪শ’র বেশি মানুষ হত্যার দায় শেখ হাসিনার। তার বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যার নির্দেশনা, প্ররোচনা, উসকানিসহ পাঁচ অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। একইসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও মিলেছে অপরাধের প্রমাণ।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন নির্মূলে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের অনুগত ক্যাডাররা নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের প্রায় ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।

এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।w

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor