বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ঘটনার প্রায় এক মাস হতে চলল। কিন্তু পাকিস্তানিরা যেন সেই দুঃস্বপ্ন থেকে এখনো বের হতে পারছে না। সম্প্রতি পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাসও বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাই হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন।
ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের হারকে অনেক বড় ধাক্কা বলে মন্তব্য করেছেন জহির। এ সময় তিনি কথা বলেছেন বাবর আজমের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা নিয়েও। দুজনের তুলনাকে অর্থহীন মন্তব্য করে কোহলিকে এগিয়েও রেখেছেন পাকিস্তানের হয়ে ৭৮ টেস্ট ও ৬২ ওয়ানডে খেলা জহির।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ের পর একই মাঠে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জিতেছে। পরপর দুই টেস্টে বাংলাদেশের কাছে এমন হার নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ৭,৬৩৪ রান করা এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার অনেক বড় ধাক্কা। পাকিস্তান এতটা বাজেভাবে হারবে, আমরা সেটা কখনো ভাবিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট এ মুহূর্তে ভালো করছে না। পারফরম্যান্সের পতন ঘটেছে।’
সাম্প্রতিক সময়টা খারাপ গেলেও পাকিস্তানের ক্রিকেট দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী জহির, ‘আমি আশা করছি, এটা ঠিক হয়ে যাবে। পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার পেছনে অনেক কারণ আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট একসময় বিশ্বসেরা ছিল, যা এখন আর নেই। তবে আমি আশা করি, পাকিস্তানের ক্রিকেট আবারও শীর্ষে ফিরতে পারবে। ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করছে।’
বহুল আলোচিত কোহলি–বাবরের তুলনা নিয়েও কথা বলেছেন এই কিংবদন্তি। যদিও দুজনের মধ্যে তুলনার কোনো সুযোগ নেই বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘এই তুলনা অর্থহীন। বিরাট কোহলি প্রতি ম্যাচে রান করেছে। আর অন্যজন (বাবর) কোনো ম্যাচে রান করেনি। তাহলে কীভাবে আপনি তুলনা করতে পারেন। যে খেলোয়াড় রান করেছে, সেই বড় খেলোয়াড়।’
পাকিস্তানের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করার পাশাপাশি ভারতের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন জহির, ‘ভারতীয় দল সামগ্রিকভাবে খুবই ভালো। তাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো করছে এবং তাদের বোলাররাও একইভাবে ভালো। এটা খুবই ভারসাম্যপূর্ণ দল। তারা খুবই ভাবনাচিন্তা করে খেলা দল। তাদের অধিনায়ক খুব ভালো, যে ক্রিকেটটা খুবই ভালো বোঝে। ফলে সবকিছু যদি আপনার পক্ষে থাকে, তবে কাজটাও অনেক সহজ হয়ে যায়। আর এ কারণেই ভারত এখন সঠিক পথে আছে। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাদের ভালো করার দারুণ সুযোগ আছে।’
Publisher & Editor