নারীদের মতামতকে রাষ্ট্র গঠনে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ‘ক্ষুব্ধ নারী সমাজ’। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় ‘ক্ষুব্ধ নারী সমাজে’র আয়োজনে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে, ‘গণঅভ্যুত্থান ও নারী প্রশ্ন’ শীর্ষক এক সংলাপে বক্তারা এ দাবি উত্থাপন করেন।
তারা বলেন, সংবিধান প্রণয়নের দাবি উঠেছে। নারীরা তাতে অংশগ্রহণ করবে। নারী হিসেবে আমাদের মতামতকে রাষ্ট্র গঠনে যুক্ত করতে হবে। তাই সংবিধানে নারী অধিকার নিয়ে যে দুর্বলতা রয়েছে বিশেষত সম্পত্তিতে নারীর অধিকারের প্রশ্নে- সকল ধর্মের নারীরা যেন একই ভাবে সম্পত্তির অধিকার পেতে পারেন। এর মাধ্যমে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্র তৈরি করা যায় সেই চেষ্টা আমাদের করে যেতে হবে।
আলোচনায় অংশ নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।
এছাড়াও বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের সুমাইয়া ইসলাম, নারী পক্ষের শিরীন হক ও অ্যাড. কামরুন নাহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, লেখক ও উদ্যেক্তা নাভিন মুরশিদ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সুস্মিতা রায়, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কর্মী ওয়ারদা আশরাফসহ অনেকেই সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছাত্র-জনতার আন্দোলন। এই ছাত্র ও জনতার মধ্যেও দেখতে হবে নারীদের অবস্থান কোথায়।
বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার স্বৈরাচারী দুঃশাসনবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখার সাহস দিয়েছে। নতুন রাজনৈতিক পরিবেশে পুঁজি ও পুরুষতন্ত্রের শৃঙ্খল ভেঙে নারী-পুরুষসহ সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষ দানা বেঁধেছে।
বক্তারা আরও বলেন, সংস্কারের অনেক কমিশন হচ্ছে কিন্তু নারী অধিকার কমিশন, শ্রমিক অধিকার কমিশন গঠনের কোনো খবর নেই। বিদ্যমান সংবিধান নারীদের অধিকার দিয়েছে জনজীবনে। কিন্তু পারিবারিক অধিকার, সম্পত্তির অধিকার রয়ে গেছে যার যার ধর্মের অধীনে।
Publisher & Editor