রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাজ্যে শরণার্থীদের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২০ বছর

প্রকাশিত: ০১:২৭, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ |

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রাপ্ত শরণার্থীদের স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের জন্য ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদের ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা নতুন পরিকল্পনায় এমন প্রস্তাবই আসছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) এ সংস্কার চূড়ান্তভাবে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

সরকার বলছে, ছোট নৌকায় সমুদ্রপথে অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ এবং আশ্রয়ের আবেদন কমানোই এই বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের লক্ষ্য। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আশ্রয়প্রাপ্তদের দেশে থাকা হবে সাময়িক, আর তাদের মর্যাদা নিয়মিত পর্যালোচনা করা হবে। যাদের নিজ দেশ নিরাপদ বলে বিবেচিত হবে, তাদের ফিরতে হবে।

বর্তমানে শরণার্থী মর্যাদা পাঁচ বছরের জন্য বহাল থাকে, এরপর আবেদনকারীরা স্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারেন। নতুন নীতিতে এই প্রাথমিক মেয়াদ কমিয়ে আনা হচ্ছে আড়াই বছর। পরে শরণার্থী মর্যাদা নিয়মিতভাবে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।

স্থায়ীভাবে বসবাসের যোগ্যতা পাওয়ার সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে সরাসরি ২০ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

শাবানা মাহমুদ সানডে টাইমসকে বলেন, এই সংস্কার এমন বার্তা দিতে তৈরি—‘অবৈধভাবে এ দেশে আসবেন না, নৌকায় উঠবেন না’। তার দাবি, ‘অবৈধ অভিবাসন দেশটিকে বিভক্ত করে ফেলছে’, আর এ সমস্যার সমাধানই সরকারের দায়িত্ব।

এই নীতি মূলত ডেনমার্কের অনুসরণ, যেখানে কেন্দ্র-বাম সরকার ইউরোপের অন্যতম কড়া আশ্রয় ও অভিবাসন নীতি পরিচালনা করে। ডেনমার্কে শরণার্থীরা সাধারণত দুই বছরের সাময়িক বসবাসের অনুমতি পান এবং মেয়াদ শেষ হলে কার্যত নতুন করে আশ্রয়ের আবেদন করতে হয়।

এই পরিকল্পনা নিয়ে লেবার পার্টির ভেতরেই আপত্তির সম্ভাবনা রয়েছে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের হোম অ্যাফেয়ার্স মুখপাত্র ম্যাক্স উইলকিনসন বলেছেন, কনজারভেটিভদের তৈরি ‘অগোছালো আশ্রয় ব্যবস্থা’ ঠিক করতে নতুন পন্থা খোঁজা ঠিক হলেও, লেবারকে এটুকু ভেবে নেওয়া উচিত নয় যে এসব পদক্ষেপ দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তির বিকল্প হতে পারে।

রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন এ পরিকল্পনাকে ‘কঠোর ও অপ্রয়োজনীয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, নির্যাতন, যুদ্ধ বা পারিবারিক হত্যাকাণ্ড থেকে পালিয়ে আসা মানুষকে এসব নীতি নিরুৎসাহিত করতে পারবে না।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor