সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নতুন ভবনের কন্ট্রাক্ট সাইন

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১২ নভেম্বর ২০২৫ | ১২

প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান কার্যকরী কমিটির উদ্যোগে নিউইয়র্কে ‘বাংলাদেশ সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকায় ব্যস্ত লোকেশনে বিশাল ভবন কেনার প্রাথমিক ধাপ হিসাবে ভবন মালিকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর ৪ দশমিক ৯ মিলিয়নে কুইন্সের জ্যামাইকায় ১৮৯-১০ হিলসাইডে ভবন কেনার চুক্তি করা হয়। কুইন্সের জ্যামাইকায় ‘বাংলাদেশ সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ভবন ক্লোজিং হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল নির্বাচনে জয়লাভ করলে বাংলাদেশ সোসাইটির ভবন করা হবে। সেই ভবনে হবে কমিউনিটি সেন্টার। নির্বাচন আতাউর রহমান সেলিম এবং মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বাধীন প্যানেল জয়লাভ করে। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ভবন খুঁজতে থাকে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শাহনেওয়াজ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ভবন কেনার প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায়। তিনি বাংলাদেশ সেন্টার কেনার জন্য ২ লাখ ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রাথমিক অর্থ হিসাবে ইতিমধ্যে তিনি ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার দিয়েছেন। ৭৫ হাজার ডলার নেওয়া হয়েছে সোসাইটির ফান্ড থেকে।

বাংলাদেশ সোসাইটির পক্ষে কন্ট্রাক্ট সাইন করেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ও কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি। এছাড়াও এ সময় কার্যকরি কমিটির সদস্যরা ছাড়াও ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম জানান, ভবনটির মূল্য ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। প্রতিমাসে মর্গেজ পরিশোধের কথা মাথায় রেখে আপাতত বাণিজ্যিকভিত্তিতে ভবনটি পরিচালিত হবে। তবে বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় স্পেস থাকবে। সভাপতি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো ৩-৪ বছরের মধ্যে ভবনের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করার। এরপর সেখানে বড় আকারে কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে প্রায় এক হাজার লোকের অনুষ্ঠান করা যাবে। এছাড়াও থাকবে বাংলা স্কুল, জিমসহ বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান কার্যালয়। বাংলাদেশ সেন্টারের মর্গেজ পরিশোধে বর্তমানে এলমহার্স্টের হুইটনি অ্যাভিনিউর নিজস্ব ভবন বিক্রি করা হবে কীনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে আতাউর রহমান সেলিম বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। ট্রাস্টি বোর্ড, কার্যকরী কমিটি এবং সাবেক কর্মকতাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ভবিষ্যতে ফান্ডরেইজিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হবে।

বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ জানান, বাংলাদেশ সেন্টার প্রতিষ্ঠা একটি বড় প্রকল্প। এই প্রকল্প সফল করতে তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশি কমিউনিটির পাশে আছি। সবসময় থাকবো। বাংলাদেশ সেন্টার নিউইয়র্কের বুকে একখণ্ড বাংলাদেশ হবে, ইনশাল্লাহ।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor