নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে দারুণ লড়াই করেও ৪ উইকেটে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল হার দেখেছে। বাংলাদেশের স্পিন বিষে যখন ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে, একাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার হিদার নাইট। ১১১ বলে ৭৯ রানের হার না মানা ইনিংসে তিনি জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচ শেষে আলোচনায় হিদার নাইটকে দেওয়া দুটি আউটের সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার বিতর্কিত ঘটনা। তাকে একবার করে এলবিডব্লিউ ও ক্যাচ আউটের দেওয়া সিদ্ধান্ত রিভিউ নেওয়ার পর বদলে দিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার গায়ত্রী ভেনুগোপাল। ভিডিও রিপ্লে অস্পষ্ট জানিয়েও, তিনি অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছেন। যে কারণে ম্যাচ শেষে নিজেকে ভাগ্যবান বলে উল্লেখ করেন হিদার নাইট, ‘৩ বার আউট হতে পারতাম আজকে। কিছুটা ভাগ্যবান ছিলাম মনে হয়। তবে ভাগ্য পক্ষে থাকাটা ডিজার্ভও করি বলে মনে হয়।’
১৫তম ওভারে ফাহিমা খাতুনের বল কভার অঞ্চলে খেলেছেন নাইট, শূন্যে থাকা বলটি সামনের দিকে ঝুঁকে তালুবন্দী করেন স্বর্ণা আক্তার। আউট ধরে নিয়ে নাইটও ক্রিজ ছেড়ে হাঁটা শুরু করেন। এরপর আম্পায়ার তাকে থামিয়ে সিদ্ধান্তের ভার পাঠান তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। সেখানেই ফের নটআউট জানানো হয় নাইটকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমি ভেবেছি এটি আউট। ক্যাচটি ঠিকঠাক ধরেছে মনে করে আমি হাঁটা শুরু করি। কিন্তু টিভি আম্পায়ার ভিন্ন সিদ্ধান্ত জানান।’
টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তারকে নিয়ে নাইট বলেছেন, ‘সে (মারুফা) অনেক ভালো একজন বোলার। ভালো লেইট সুইং পায়, যে ব্যাপারটা খুব দুর্লভ। তার বলের লেইট সুইংয়ের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে আমাদেরকে। চেষ্টা করেছি ভালোভাবে সামলে নিতে।’
নাইটের একাধিক জীবন পাওয়া নিয়ে হতাশা ঝরেছে টাইগ্রেস স্পিনার ফাহিমা খাতুনের কণ্ঠে, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে আউট ছিল, সেভাবেই আপিল করেছি। আউট হয়ে যাওয়ার পরেও যখন দেওয়া হয়নি তখন একটু আপসেট হয়ে গিয়েছিলাম। আমি মনে করি নাইটের উইকেটটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তখন উইকেট গেলে খেলার সিনারিওটা হয়তো ভিন্ন হতো।’
প্রথমে মারুফার বলে খাবি খেয়েছে ইংলিশ ব্যাটাররা। চোটের কারণে তার আর ৫ ওভারের বেশি করা হয়নি। এরপর স্পিনারদের ঘূর্ণি তাদের দিশেহারা করে। ১০ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া ফাহিমা নিজেদের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে জানান, ‘বোলারদের প্ল্যানই ছিল উইকেট টু উইকেট বল করা। প্ল্যানটা কাজে লাগানো দরকার ছিল। আমাদের বোলিং আক্রমণ অনুযায়ী আমার মনে হয় ভালো স্কোরই হয়েছিল। একটাই মেসেজ ছিল উইকেট টু উইকেট বল করো উইকেটের বাহিরে কইরো না।’
Publisher & Editor