বৃষ্টি হলেও গরম কম হওয়ার নাম নেই। দিনে দুই বার গোসল করলে স্বস্তি মেলে। তার ওপর এই গরমে যদি ব্যায়াম করেন, তখন শরীর আরো গরম হয়ে যায়। ঘাম ঝরানোর পরে গোসল না করে উপায় থাকে না।
কিন্তু স্বস্তি পেতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলেই যত সমস্যা। এমনকি গরম পানিতেও গোসল করা যাবে না। তাহলে কী করবেন, জেনে নিন—
গরম পানিতে কেন গোসল করবেন না
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চার পরে শরীর আরো গরম হয়ে থাকে, হৃদস্পন্দনও বেশি থাকে, এমনকি রক্তনালিও প্রসারিত থাকে। এর মধ্যে আপনি যদি গরম পানিতে গোসল করেন, তাহলে শরীরের তাপমাত্রা আরো বেড়ে যায়।
তখন আপনি আরো অসুস্থ বোধ করতে পারেন। মাথাঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় শরীরচর্চার পরে গরম পানিতে গোসল করলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা কি ভালো?
অত্যধিক গরমে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে স্বস্তি মেলে।
কিন্তু এতে পেশিতে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়। পাশাপাশি স্নায়ুও অবশ হয়ে যায়। এতে ব্যথা-যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আরো বড় যে সমস্যা দেখা দেয়, তা হলো রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন আরো বেড়ে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
তাই ঠাণ্ডা পানিতেও গোসল করা উচিত নয়।
তবে, ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করার একটা ভালো দিক রয়েছে। ঠাণ্ডা পানি গায়ে পড়লে এন্ডোরফিন হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এটি একটি হ্যাপি হরমোন, যা মন-মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কী ধরনের পানিতে গোসল করা ভালো?
না ঠাণ্ডা, না গরম, হালকা গরম পানিতে গোসল করা উচিত। শরীরচর্চা পরেও হালকা গরম পানিতে গোসল করলে পেশির নমনীয়তা ফিরে আসে। ব্যায়াম করলে যে শরীর যে ব্যথা-বেদনা হয়, সেটাও হালকা গরম পানিতে গোসল করলে চলে যায়। শারীরিক ও মানসিক স্বস্তি মেলে।
শরীরচর্চা না করলেও হালকা গরম পানিতে গোসল করা উচিত। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। আবার গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক ও চুল নষ্ট হয়ে যায়। তাই গোসলের জন্য হালকা গরম পানিই ভালো।
Publisher & Editor