বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

কেন এত ক্যাচ মিস করেন জয়সোয়াল

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৬ জুন ২০২৫ |

হেডিংলি টেস্টে সেঞ্চুরি করার পরও বেশ চাপে আছেন যশস্বী জয়সোয়াল। কারণ, সেই টেস্টে ভারতের ফিল্ডাররা যে ৭টি ক্যাচ ছেড়েছেন, এর ৪টিই ছেড়েছেন জয়সোয়াল। তাঁর একাধিক সহজ ক্যাচ ছাড়ার খেসারত ভারতকে দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে।

প্রশ্ন হলো, জয়সোয়ালের দুই হাত কেন ‘মাখন মাখানো’ হয়ে গেল? কেন তাঁর হাত থেকে এত ক্যাচ পড়ছে? ফিল্ডিংয়ে জয়সোয়ালের এমন ব্যর্থতার সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ। খেলোয়াড়ি জীবনে কাইফকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার বিবেচনা করা হতো।

হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি করেছিলেন ওলি পোপ। তবে যসপ্রীত বুমরার একটি বলে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন পোপ। সেখানে ছিলেন জয়সোয়াল। কিন্তু বল তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে কবজিতে লেগে মাটিতে পড়ে। পোপ তখন ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। পরে আউট হন ১০৬ রান করে।

আমরা (ইংল্যান্ডে) ডিউক বল দিয়ে অনুশীলন করি। কখনো আঘাত পেলে আমরা একটা স্ট্র্যাপ পরে নিই। কিন্তু তাতে আঙুল আটকে যায়, সহজে নড়াচড়া করা যায় না।

এরপর একই ইনিংসে হ্যারি ব্রুকের দেওয়া সহজ ক্যাচ ফেলেন জয়সোয়াল। আবারও বুমরার বল, আবারও স্লিপে। ব্রুক তখন কোনো রানই করতে পারেননি। ‘জীবন’ পাওয়ার পর করেছেন ৯৯ রান।

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ সিরাজের শর্ট বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বেন ডাকেট। জয়সোয়াল দৌড়ে এসে দুই হাতে বল মুঠোবন্দী করার চেষ্টা করলেও পারেননি। সেই ডাকেট পরে খেলেন ম্যাচ জেতানো ১৪৯ রানের ইনিংস।

সাধারণত তরুণ ফিল্ডাররা চটপটে হন, মাঠে সব সময় তাঁদের সক্রিয় দেখা যায়। কিন্তু জয়সোয়ালের ফিল্ডিংয়ের মান তুলনামূলক বাজে। এর কারণ খুঁজেছেন কাইফ।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কাইফ বলেছেন, ‘জয়সোওয়াল কেন ক্যাচ ফেলছে? আমরা (ইংল্যান্ডে) ডিউক বল দিয়ে অনুশীলন করি। কখনো আঘাত পেলে আমরা একটা স্ট্র্যাপ পরে নিই। কিন্তু তাতে আঙুল আটকে যায়, সহজে নড়াচড়া করা যায় না। বল ধরতে গেলে স্ট্র্যাপটা স্পঞ্জের মতো কাজ করে। বল হাতে আটকে থাকে না, লেগেই ছিটকে যায়। এতে বলের সঙ্গে স্বাভাবিক সংযোগটা নষ্ট হয়ে যায়।’

হেডিংলি টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে প্রথমবার ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শুবমান গিল। শুরুটা হার দিয়ে হলেও কাইফ মনে করেন, ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসের চেয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন গিল। তিনি বলেন, ‘তরুণ অধিনায়ক হিসেবে গিল দারুণ করেছে। বুমরাকে চার ওভারের স্পেল করে বোলিং করিয়ে দারুণভাবে রোটেট করেছে। এতে করে বুমরা ক্লান্ত হয়নি এবং তার কার্যকারিতাও বেড়েছে। নেতৃত্বের দিক থেকে গিল এই ম্যাচে বেন স্টোকসের চেয়ে ভালো করেছে।’

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor