বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

নিউইয়র্কে ‘হোপ নেভার ডাইস’ প্রামাণ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৬ জুন ২০২৫ |

নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে কোভিড-১৯ মহামারিকে কেন্দ্র করে নির্মিত ব্যতিক্রমী প্রামাণ্যচিত্র ‘Hope Never Dies’ (হোপ নেভার ডাইস)-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী ২০ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। ৪২ মিনিট দীর্ঘ এই প্রামাণ্যচিত্রে ফুটে উঠেছে মহামারিকালে নিউইয়র্কবাসীর সাহস, সংগ্রাম ও বেঁচে থাকার প্রত্যয়। এটি গবেষণা, পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক ও নির্মাতা শামীম আল আমিন। প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণে সহায়তা করেছে ‘সিনে হাউজ মিডিয়া’। অনুষ্ঠান শুরু হয় নতুন প্রজন্মের শিল্পী আলভান চৌধুরীর কণ্ঠে অনুপ্রেরণামূলক গান ‘We Shall Overcome’-এর পরিবেশনায়। এরপর নির্মাতা শামীম আল আমিন তুলে ধরেন নির্মাণপ্রক্রিয়া ও সেই সময়কার বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা। এই প্রদর্শনী পরিণত হয় মানবতার জয়গান ও জীবনের উদযাপনে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন কানাডা থেকে আগত খ্যাতিমান সংবাদপাঠিকা ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আসমা আহমাদ মাসুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রামাণ্যচিত্রের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও ‘মেটা ইনফো টেক’-এর সিইও মাহবুব সিদ্দিকী। প্রদর্শনীর শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রামাণ্যচিত্রের পোস্টার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সুধীজন ও আমন্ত্রিত অতিথিতে পূর্ণ মিলনায়তনে দর্শকরা এক নিঃশ্বাসে প্রামাণ্যচিত্রটি উপভোগ করেন। প্রদর্শনীর শেষে অনুভূতি প্রকাশ করেন নাট্যজন ও সংস্কৃতিকর্মীরা। বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অনুবাদক ও নাট্যজন প্রফেসর আব্দুস সেলিম, নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা, থিয়েটার গবেষক ড. বাবুল বিশ্বাস, সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা এবং সংস্কৃতিজন তাজুল ইমাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গোপন সাহা। আরও বক্তব্য রাখেন আকাশ রহমান, মিল্টন আহমেদ, মিয়া জাকির, নাসির আলী খান পল, রুবাইয়া রহমান এবং তোফায়েল চৌধুরী লিটন।

উদ্বোধনী ও সমাপনী আবৃত্তি করেন খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। ধারাবর্ণনায় ছিলেন শামস উজ জোহা। সংগীতায়োজনে ছিলেন অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু, রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন স্বপ্নীল সজীব। প্রামাণ্যচিত্রের দৃশ্যধারণে ছিলেন শফিকুল ইসলাম সাবু, শামীম আল আমিন ও শেখ তানভীর আহমেদ। সম্পাদনা, গ্রাফিক্স ও সংগীত সহযোগিতায় ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম এবং টাইপোগ্রাফি ও পোস্টার ডিজাইনে ছিলেন মামুন হোসাইন।
অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানটি পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় এক আবেগঘন সন্ধ্যা।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor