যুদ্ধের শেষ দিনে ইসরায়েলের ২০টি লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের মিসাইল হামলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বড় হামলার জন্য ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। কিন্তু সেই সময়টিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ফোনালাপ হয়।
বুধবার (২৫ জুন) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ট্রাম্প ফোনালাপের সময় নেতানিয়াহুর দিকে উচ্চস্বরে বলেন, এখনই 'আক্রমণ বন্ধ করুন'। সূত্রটি উল্লেখ করেছে, নেতানিয়াহু খুব কম কথাই বলার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি শুধু বারবার মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প নিজের ঘোষিত যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এটিকে 'ব্যক্তিগত অর্জন' হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, কেউ যেন এটিকে 'দুর্বল না করে'।
জেরুজালেম পোস্টের অনুসারে, ইরানের বৃহত্তর হামলার পর ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বড় পরিসরে আয়োজন করা আক্রমণ বাতিল করার নির্দেশ পায়। পরিবর্তে আপোষ হিসাবে, তেহরানের কাছে একটি রাডার স্টেশনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এই স্থানটি প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত স্থান থেকে অনেক দূরে ছিল।
সেই প্রসঙ্গে তখন ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টও করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, 'ইসরায়েল। বোমা ফেলো না। যদি তুমি এটা করো তাহলে এটা একটা বড় ধরনের লঙ্ঘন। এখনই তোমার পাইলটদের ঘরে ফিরিয়ে আনো!'
হেগে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার আগে তিনি এই পোস্টটি করেছিলেন। বিমানে ওঠার আগেও ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য তিনি উভয় পক্ষের প্রতি 'সন্তুষ্ট নন', যদিও তিনি বিশেষ সমালোচনার জন্য ইসরায়েলের নাম এককভাবে উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছেন, তাদের (ইসরায়েলি) বিশাল প্রতিশোধমূলক হামলা দুর্ঘটনাজনিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের তুলনায় অপ্রতুল। হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, 'আমাকে এখনই ইসরায়েলকে শান্ত করতে হবে।'
হঠাৎ ক্যামেরা থেকে মুখ ফিরিয়ে অপেক্ষারত হেলিকপ্টারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আগে ট্রাম্প সতর্ক করে দেন, ইরান এবং ইসরায়েল... এত দীর্ঘ এবং এত তীব্র লড়াই করছে যে, তারা জানে না যে তারা কী করছে।
Publisher & Editor