বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

লন্ডনে স্বাস্থ্যকর স্কুল অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে শীর্ষ টাওয়ার হ্যামলেটস

প্রকাশিত: ০৩:০৯, ২১ জুন ২০২৫ |

লন্ডনে স্বাস্থ্যকর স্কুল অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে টাওয়ার হ্যামলেটস। ব্রোঞ্জ, সিলভার ও গোল্ড পুরস্কারের ক্ষেত্রে অন্যান্য অঞ্চলকে পেছনে ফেলে সর্বাধিক স্কুল পুরস্কৃত হয়েছে এই বরোতে।

স্কুলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় শিক্ষকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে এবং এই অর্জনকে উদযাপন করতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল টাউন হলে একটি ‘হেলদি লাইভস সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ২৩০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডনের ডেপুটি মেয়র জোয়ান ম্যাককার্টনি এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র এবং এডুকেশন, ইয়ূথ অ্যান্ড লাইফলং লার্নিং বিষয়ক লিড মেম্বার কাউন্সিলর মাইয়ূম তালুকদার স্কুল গুলোর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে ‘হেলদি স্কুলস লন্ডন’ পুরস্কার, ‘অ্যাজমা অ্যান্ড অ্যালার্জি ফ্রেন্ডলি স্কুল’ স্বীকৃতি এবং ‘ফ্যান্টাস্টিক ফুড ইন স্কুলস’ প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। রয়্যাল ব্যালে, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ফাউন্ডেশন এবং স্থানীয় খামারের প্রাণীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

এডুকেশন, ইয়ূথ অ্যান্ড লাইফলং লার্নিং বিষয়ক লিড মেম্বার কাউন্সিলর মাইয়ূম তালুকদার বলেন, স্বাস্থ্যকর স্কুল অর্জনে টাওয়ার হ্যামলেটসের শীর্ষ অবস্থান আমাদের জন্য গর্বের। এটি আমাদের স্কুল গুলোর শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিফলন। আজকের এই উদযাপন তাদের কঠোর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেবে।

লন্ডনের ডেপুটি মেয়র জোয়ান ম্যাককার্টনি বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের স্কুলগুলো স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় যে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই সাফল্য কমিউনিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। লন্ডন মেয়রের হেলদি স্কুলস প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্কুলগুলোকে এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করছি যেখানে প্রতিটি শিশু স্বাস্থ্যকর ভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

কাউন্সিলের ‘হেলদি লাইভস টিম’ স্কুল গুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করে। প্রশিক্ষণ, সম্পদ ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শের মাধ্যমে তারা স্কুলগুলোতে সুস্থতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor