যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেছেন, গাজায় পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
স্কটল্যান্ডে সাংবাদিকরা জানতে চান, যুক্তরাজ্য গাজার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না। জবাবে স্টারমার বলেন, 'গাজায় পরিস্থিতি অসহনীয় এবং দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।' এই কারণেই আমরা মিত্রদের সাথে কাজ করছি...।
তিনি বলেন, 'সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট করে বলতে চাই, মানবিক সাহায্য দ্রুত এবং যা পরিমাণে পৌঁছাতে হবে যে, এটি বর্তমানে পৌঁছাচ্ছে না। এর ফলে চরম ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে।'
এদিকে, সোমবারও (২ জুন) উত্তর ও মধ্য গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় এক শিশুসহ ৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে টিআরটি গ্লোবাল জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফালুজা এলাকায় একটি ইসরায়েলি ড্রোন বেসামরিক নাগরিকদের দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই হামলায় চার জন নিহত হয়।
আরেকটি পৃথক ঘটনায়, উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে আল-বুরেইজ পৌরসভার একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় আরও তিন জন নিহত হয়। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম গাজা শহরের আল-দাহদৌহ চৌরাস্তার কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ১৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ আল্লাম আবু আসি নিহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর মতে, আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
অপরদিকে, গতকাল গাজা উপত্যকায় মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েল। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। দখলদার বাহিনীর এই তীব্র গুলিবর্ষণে আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন।
গাজায় ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বরতার ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক সংকটে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে, পুরো গাজা অঞ্চল দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ক্ষুধার্ত মানুষদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।
Publisher & Editor