বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

ঈদের আগে রান্নাঘরে এসব প্রস্তুতি আছে তো?

প্রকাশিত: ০৮:১২, ০৩ জুন ২০২৫ |

ঈদুল আজহায় রান্নাঘরই যেন উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। তাই ঈদের অন্তত সপ্তাহখানেক আগেই পুরো বাড়িসহ রান্নাঘর ‘ডিপ ক্লিন’ করে ফেলুন। যেসব জিনিস বেশি ব্যবহার করা হবে, সেসব ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে হাতের নাগালে রাখলে ভালো। তাই একটা চেকলিস্ট তৈরি করে ফেলতে পারেন। কোরবানির ঈদের প্রস্তুতিতে রান্নাঘরের যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলতে পারেন, দেখে নিন চট করে।

কোরবানির আগেই সিঙ্কের পাইপ, ওভেন, রেফ্রিজারেটর, কিচেন হুড ইত্যাদি পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু একবার দেখে নেওয়া আবশ্যক।

ঈদের দিন বা তার পরের দিনগুলোয় বিশেষ কী কী মেনু তৈরি করা হবে, সেসব যদি আগে থেকে নির্ধারণ করা হয়, তাহলে সে অনুযায়ী কিছু মসলা ও উপকরণ আগেভাগেই তৈরি করে রাখুন।

ডিপ ক্লিনিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

মাইক্রোফেব্রিক কাপড়

গ্লাভস

স্ক্রাবিং ব্রাশ

মাল্টিপারপাস ক্লিনার

আবর্জনা ফেলার ব্যাগ

প্রাথমিক চিকিৎসার অনুষঙ্গ

ডিসপোজেবল প্লেট ও গ্লাস

কাটার, ব্লেন্ডার, গ্রাইন্ডার ইত্যাদির কাজ শেষে পরিষ্কার করে অন্যত্র সরিয়ে রাখা ভালো। এতে ঈদে রান্নার চাপেও রান্নাঘরের জায়গা বাঁচবে।

ঈদের আগেই ঈদের জন্য ব্যবহৃত টেবিলওয়্যারগুলো ধুয়ে–মুছে রাখুন।

কাচ, সিরামিক বা চীনামাটির প্লেট-বাটিগুলো কখনোই তারের স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে ধোয়া উচিত নয়। এতে প্লেট বা বাটির নকশা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আধুনিক রান্নাঘরে থাকা চাই আধুনিক উপকরণ

ঈদে প্রায়ই কড়াই-পাতিলে পোড়া দাগ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়, তবে সমাধানও খুব সহজ। চুলায় একটি বড় পাত্রে এক কাপ পানিতে এক কাপ ভিনেগার নিন। এবার পাত্রটি এই মিশ্রণে রেখে ফুটিয়ে নিন। তারপর চুলা বন্ধ করে ২ চা-চামচ বেকিং সোডা দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। তারপর স্ক্রাবার দিয়ে হালকা ঘষে পরিষ্কার করুন। যদি বাড়িতে এত কিছু না থাকে, তবে পানিতে দুই-এক টুকরা লেবু ফেলে দিয়ে সেই পাত্রেই ফুটিয়ে নিন। পোড়া দাগ আলগা হয়ে এলে স্ক্রাবার ও ডিশওয়াশার দিয়ে হালকা ঘষে পরিষ্কার করুন।

যেহেতু কোরবানির ঈদ; রক্ত, তেল, চর্বি লেগে যেতে পারে রান্নাঘরে সিঙ্ক, চুলার আশপাশের জায়গা, কাউন্টার কেবিনেট বা ফ্রিজের বাইরে। সম্ভব হলে সঙ্গে সঙ্গেই পরিষ্কার করে ফেলতে হবে ডিশওয়াশার লিকুইড অথবা লেবুর খোসার সঙ্গে সাবান–পানি বা লিকুইড ডিটারজেন্ট মিশিয়ে।

মেলামাইন বা কাচের পাত্রের তেলতেলে ভাব দূর করতে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস বা সাইট্রাস ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা উত্তম। এতে মাংসের গন্ধও কেটে যায়।

মার্বেল বা কাঠের তৈরি কিচেনের কাউন্টার টপে হলুদ বা লেবুজাতীয় কিছু পড়লে রং নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। তাই এমন কিছু পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সুতি কাপড় ও মাইল্ড সোপ ব্যবহার করে পরিষ্কার করুন।

সিঙ্কের আশপাশে ডিপ ক্লিনিংয়ের সময় বেকিং সোডা, সাদা ভিনেগার, হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড, বোরক্স, গরম পানি ব্যবহার করলে ভালো পরিষ্কার হয়।

এ ছাড়া মাংসের চর্বি আটকে সিঙ্কের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে ঈদের সময়। তাই প্রতিবার সিঙ্কের কাজ শেষে দেড়–দুই মগ গরম পানি ঢেলে দিতে পারেন।

সতেজ ভাবের জন্য ক্লিনিং লিকুইডের সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করা যায়। সুগন্ধি মোমবাতি বা ফ্রেশনারও অনেকে ব্যবহার করেন।

কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, কাটাকুটির সরঞ্জাম যেমন ছুরি, বঁটি, চাকু ইত্যাদি সপ্তাহখানেক আগেই ধার করিয়ে নেওয়া জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে, লোহার সরঞ্জাম পরিষ্কার করার পর যেন পানি লেগে না থাকে, নয়তো মরিচা পড়ে যেতে পারে।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor