শীতকালে কাশি হওয়া খুবই সাধারণ। তবে রান্নাঘরে পাওয়া কালো মরিচ, আদা, মধু ও হলুদের মতো প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলো দ্রুত উপশম দেয়। এই প্রতিকারগুলো গলার প্রদাহ কমায়, কফ বের করে দেয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এর ফলে আপনি সংক্রমণ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন।
আদা
রান্নাঘরে পাওয়া কিছু জিনিসই এই সময়ে আপনার উপকারে আসবে। তারমধ্যে আদা কাশির বিরুদ্ধে কার্যকর। কাশির ফলে গলায় প্রদাহ হয়, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত মসৃণ পেশিগুলোকে শিথিল করে।
এক কাপ গরম পানিতে ১৫ থেকে ৩০ গ্রাম কুচি করা আদা মধু বা লেবুর রসে মিশিয়ে চা তৈরি করতে পারেন।
এই আদা চা শুষ্ক, হাঁপানিবিহীন কাশি প্রশমিত করতে সাহায্য করে, গলায় তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। এমনটাই বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।
রসুন
রসুন যদিও সবজির স্বাদ বাড়াতে কাজ করে, সেই সঙ্গে কাশিতেও সাহায্য করে। রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং এটি নিরাময়ে সহায়তা করে।
আপনার যদি কাশি হয়, তাহলে সকালে খালি পেটে রসুন খেতে পারেন, অথবা সামান্য গরম করে খেতে পারেন। নিয়মিত রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
কালো মরিচ
আমাদের রান্নাঘরে পাওয়া কালো মরিচ, কাশির সময় ফুসফুস থেকে কফ পাতলা করে বের করে দিতে সাহায্য করে, শ্বাসনালির জ্বালা ও প্রদাহ কমায়। এই একই মরিচ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। কালো মরিচ পিষে দুধে মিশিয়ে পান করতে পারেন এবং কাশির সময় পান করতে পারেন।
এটি কফ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং গলা প্রশমিত করে।
ডালিমের বীজ
ডালিমের বীজ কেবল আমাদের শরীরকেই শক্তি জোগায় না, বরং ডালিমের খোসাও উপকারী প্রমাণিত হয়। এগুলো ব্যবহার করার জন্য শুকনা ডালিমের খোসা পিষে গুঁড়া করে গরম পানি বা চায়ে যোগ করুন। এটি পান করলে কাশি উপশম হয় এবং গলা থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয়। ডালিমের খোসা গলা ও শ্বাসনালি পরিষ্কার করার জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।
মধু
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কাজ করে মধু। কাশির সময় এটি শ্লেষ্মা বের করে গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কাশি কমাতে মধুর সঙ্গে আদা মিশিয়েও খেতে পারেন। গলা ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমাতেও মধু কার্যকর।
Publisher & Editor