শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

বিঞ্জ ইটিং কী? জেনে নিন কারণ ও প্রতিরোধের উপায়

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭

বাঙালির খাদ্যপ্রেম অতুলনীয়। কোনো উৎসব-অনুষ্ঠান না থাকলেও মুখরোচক খাবারের সামনে দাঁড়ালে লোভ সামলানো কঠিন হয়ে যায়। পেট ভর্তি করে খাওয়ার পরও প্রিয় খাবারের দিকে মন যায়। এই নিয়ন্ত্রণহীন খাওয়ার প্রবণতাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় বিঞ্জ ইটিং ডিসঅর্ডার।

বিঞ্জ ইটিং মূলত এক ধরনের ইটিং ডিসঅর্ডার। এটি শুধু স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; সাধারণ ওজনের মানুষও এর শিকার হতে পারেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, বিঞ্জ ইটিং মস্তিষ্কের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। অতিরিক্ত উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা এই সমস্যার অন্যতম কারণ।

বিশেষ করে জাংক ফুড, অতিরিক্ত লবণ বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্যকরভাবে বিঞ্জ ইটিং মোকাবেলা করতে করণীয় :
১। প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত স্ন্যাক্স : রোস্টেড চানা, রোস্টেড বাদাম বা মাখনা স্বাস্থ্যকর বিকল্প।

২। ওমেগা ৩ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার : এ ধরনের খাবার মনকে শান্ত রাখে এবং পেটও ভরিয়ে রাখে।
৩। পপকর্ন : সল্টেড পপকর্ন নিরাপদ, তবে মাখন বা চিজের পপকর্ন এড়ানো উচিত।

৪। ঘরে তৈরি এনার্জি বল : ওটস, মধু, বাদাম ও বিভিন্ন বীজ দিয়ে ছোট গোল বল তৈরি করে ফ্রিজে রাখুন।

এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে।
৫। ড্রাই ফ্রুট ও তিলের বার : মিষ্টির প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমাতে উপযুক্ত।

৬। ওটসের ক্ষীর : ওটস ও দুধে খেজুর, কাঠবাদাম, কিশমিশ ও কলা মিশিয়ে ঘরে তৈরি ক্ষীর স্বাস্থ্যকর মিষ্টির বিকল্প।

বিঞ্জ ইটিং প্রতিরোধ করতে হলে শুধু খাবার নয়, মানসিক চাপও কমাতে হবে। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স ও পরিকল্পিত খাবারের মাধ্যমে খাওয়ার নিয়ন্ত্রণ ফিরে আনা সম্ভব।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor