যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন ‘দি গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইনক’। এ প্রবাসে প্রায় তিন শতাধিক রেজিস্টার্ড সংগঠন রয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের বাইরেও অনেক সংগঠন রয়েছে। কিন্তু নোয়াখালী সোসাইটি যা করেছে, তা অন্য কোনো সংগঠন করতে পারেনি। উদ্দেশ্য মহৎ এবং নেতৃত্ব সৎ থাকাতেই যে কাজে তারা হাত দিয়েছে, তা সফল হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টুর নেতৃত্বাধীন কমিটি।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ২১ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বিতরণ, ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল মনোয়নপত্র জমা, ২৪ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৫ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থিতা ঘোষণা। তারপর সভাপতি পদে জাহিদ মিন্টুর বিপরীতে আওলাদ হোসেন নামে একজন নির্বাচনের ঘোষণা দেন। জাহিদ মিন্টুর বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওলাদ হোসেন এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন এসে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন এবং বলেন, তিনি চান না তার কারণে সংগঠনের ক্ষতি হোক। শুধু একটি পদে নির্বাচন হোক। তিনি বলেন, জাহিদ মিন্টু ভালো মানুষ, তার কারণে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলাম। সবার সামনেই বললেন, আমার মনোনয়পত্রে অর্থ অন্যরা দিয়েছেন।
সভাপতি প্রার্থী জাহিদ মিন্টু ও আওলাদ হোসেনকে ধন্যবাদ জানান তার সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের জন্য। তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ সোহেল হেলাল বলেন, একটি সুন্দর পরিবেশে আমরা নির্বাচনী কার্যক্রম সমাপ্ত করতে পেরেছি। এর আগের নির্বাচনেও আমরা কয়েকটি পদে নির্বাচিত করেছি। তারও সেই আশঙ্কা করেছিলাম কিন্তু সভাপতি প্রার্থী আওলাদ হোসেনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার আমাদের সুন্দর সমাপ্তির দিকে নিয়ে গেল। তিনি আরো বলেন, আমরা নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ফলাফল ঘোষণা করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ফারুক আহমেদ, একেএম ইব্রাহিম চৌধুরী, মোস্তাক হোসেন, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাজী মফিজুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খোকন মোশাররফ, শাহ আলম, মাইনুল উদ্দীন মাহবুব, স্বপন, সহসভাপতি তাজু মিয়া প্রমুখ। ‘দি গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইনক’-এর নির্বাচন ২০২৫ এ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাহিদ মিন্টু-মাইনউদ্দিন পিন্টুর নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সোহেল হেলাল মিন্টু-পিন্টু পরিষদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য, প্রার্থী, সোসাইটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী চার বছরের জন্য (২০২৬-২০৩০) নির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তারা হলেন-সভাপতি পদে জাহিদ মিন্টু, সহ সভাপতি পদে তাজু মিয়া ও এনামুল হক রুমি, সাধারণ সম্পাদক পদে এএসএম মাইনউদ্দিন পিন্টু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ছালেহ আহমেদ চৌধুরী রুবেল, কোষাধ্যক্ষ পদে নজরুল ইসলাম, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম বাবু, প্রচার সম্পাদক পদে মাহমুদুল হাসান (রুদ্র মাসুদ), ধর্ম ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মন্জুরুল করিম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, দফতর সম্পাদক পদে মোহাম্মদ রেজাউল হক, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আনোয়ারুল আজিম, হাসানুজ্জামান, এএসএম মাইনউদ্দিন, মাহমুদুল হক ও ইকবাল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণার সময় বক্তব্য রাখেন সোসাইটির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, সহ-সভাপতি তাজু মিয়া, নির্বাচন কমিশনার ফারুক আহম্মেদ, অধ্যাপক একেএম ইব্রাহিম চৌধুরী রতন, আব্দুল মান্নান, মোস্তাক মোশারফ প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত সভাপতি জাহিদ মিন্টু ও সেক্রেটারি এএসএম মাইনউদ্দিন পিন্টু। প্রধান নির্বাচন সোহেল হেলাল নির্বাচনে তাকে সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
Publisher & Editor