বয়স অনুসারে উচ্চতা বাড়ছে না শিশুর? নিয়মিত খাওয়াতে হবে যেসব খাবার

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর উচ্চতা না বাড়লে মা-বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন ধরনের খাবার বা ওষুধের ওপরে ভরসা রাখতে শুরু করেন। যদিও এতে এই সমস্যার সমাধান না-ও হতে পারে। শিশু ছয় মাস বয়স অবধি মায়ের দুধেই পুষ্টি পায়।

এই সময়ে সন্তানের খাওয়া নিয়ে বেশি চিন্তা-ভাবনা করতে হয় না মা-বাবাকে।
কিন্তু আসল চিন্তা শুরু হয় তার পর থেকে। বিশেষ করে সন্তান যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করে, তখনই মা-বাবার চিন্তা দেখা দেয়, সন্তানের উচ্চতা ঠিকঠাক বাড়ছে কি না, পুষ্টির ঘাটতি না হচ্ছে কি না।

শিশুর উচ্চতা বয়স অনুপাতে না বাড়লে বিভিন্ন শরীরচর্চার মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

যেমন, সাঁতার, স্কিপিং, দৌড়ানো, জগিং, সাইকেল চালানো ইত্যাদি। সেই সঙ্গে জরুরি পুষ্টিকর খাবার। ঠিক কোন কোন খাবার নিয়মিত খাওয়ালে শিশু পুষ্টি পাবে এবং বাড় বৃদ্ধিও সঠিকভাবে হবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
 
দুগ্ধজাত খাবার

সবার আগে জরুরি দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। এই বিষয়ে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মত, ‘দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের গঠন মজবুত করে।

আর থাকে ভিটামিন এ, বি, ডি এবং ই। শিশুর বৃদ্ধির জন্য যা খুবই জরুরি। তাই শিশুর খাবারে যতটা সম্ভব দুধ রাখার চেষ্টা করুন। দই, চিজ, পনিরও দিতে পারেন। দিনে অন্তত তিন বার শিশুকে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতে দিন।

সবুজ শাক-সবজি ও টাটকা ফল

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক শিশুই সবজি খেতে চায় না। না চাইলে জোর করে খাওয়াবেন না। বরং সারা দিনে অল্প অল্প করে সবজি সিদ্ধ, ফল দিয়ে সালাদ বানিয়ে খাওয়ান। মেথি, পালং শাক, বাঁধাকপির মতো সবজিতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
 
একটি গোটা আলুতে রয়েছে তিন গ্রাম ক্যালসিয়াম, এক কাপ ব্রকলিতে রয়েছে পাঁচ গ্রাম ক্যালসিয়াম। তা ছাড়া সয়াবিনও খাওয়াতে পারেন শিশুকে। দিনে এক কাপের মতো সয়াবিন খেলেই প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে শিশু।

বাদাম

যদি শিশু দুধ খেতে না চায় বা দুধে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে অবশ্যই শিশুকে বাদাম দিতে পারেন। কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তা, কাজু মেটাতে পারে ক্যালসিয়ামের অভাব। বাদাম শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। এতে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই, যা হাড়ের গঠন মজবুত করে।

মাছ-মাংস-ডিম

উচ্চতা বাড়ানোর জন্য শিশুকে ডিম খাওয়াতেই হবে। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তবে শিশুর ওজন যদি বেশি হয়, তাহলে কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়ানো ভালো। ডিমে ভিটামিন বি২ থাকে, যা উচ্চতা বৃদ্ধির সহায়ক।