অ্যারিজোনায় উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত

নিকটবর্তী একটি হাসপাতাল থেকে একজন সংকটাপন্ন রোগীকে আনতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বিমানটি। অ্যারিজোনায় মঙ্গলবার একটি ছোট মেডিকেল পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা চারজন আরোহী নিহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে নাভাজো জাতিগোষ্ঠী কর্তৃপক্ষ।

এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ফিনিক্স থেকে প্রায় ৩০০ মাইল উত্তর-পূর্বে চিনলে বিমানবন্দরের কাছে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। এ সময় ভেতরেই মৃত্যু হয় চার আরোহীর।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং সিএসআই এভিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বিচক্রাফ্ট কিং এয়ার ৩০০ বিমানটি রোগী আনা-নেওয়াসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহনে ব্যবহৃত হতো। নিকটবর্তী একটি হাসপাতাল থেকে একজন সংকটাপন্ন রোগীকে আনতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্ক থেকে দুইজন পাইলট এবং দুইজন চিকিৎসা কর্মীকে নিয়ে ছেড়েছিল বিমানটি।

রোগীকে নিয়ে বিমানটির আবার আলবুকার্ক ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে, রোগীর অবস্থান কিংবা তার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।

নাভাজো ডিপার্টমেন্ট অফ ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর শেরেন স্যান্ডোভাল জানান, ক্রুরা চিনলেতে অবস্থিত ফেডারেল ইন্ডিয়ান হেলথ সার্ভিস হাসপাতাল থেকে একজন রোগীকে জরুরি চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল।

স্যান্ডোভাল জানান, কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিটে বিমানবন্দরে কালো ধোঁয়ার খবর পেতে শুরু করে। স্থানীয় পুলিশ কমান্ডার এমেট ইয়াজি জানিয়েছেন, বিমানটি চিনলে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু একটা ভুল হয়ে যায়।

নাভাজো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। তবে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড এবং এফএএ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করছে।

সিএসআই এভিয়েশনের কর্মকর্তারা ইমেইলের মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে আরোহীদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এবং নিহতদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তবে এখনও নিহতদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে, গত জানুয়ারিতে ফিলাডেলফিয়াতে আরেকটি মেডিকেল পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই দুর্ঘটনায় বিমানের ভয়েস রেকর্ডার কাজ করছিল না বলে জানিয়েছিল এনটিএসবি।