বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও স্বাভাবিক টানটান ভাব ধীরে ধীরে কমতে থাকে। চোখের নিচে কালচে দাগ এবং চোখ বসে যাওয়ার মতো কিছু পরিবর্তনও দেখা যেতে পারে। তবে কম বয়সে এমন পরিবর্তনের জন্য জীবনধারাও দায়ী। ৩০ বছর বয়স পেরোনো ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। নানামুখী সমস্যা এ বয়সে হয়ে ওঠে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চোখের নিচে কালি পড়ে, বসে যায় সতেজ চোখজোড়াও।
ঘুম
সুস্থ থাকতে আপনাকে রোজ অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। আপনি হয়তো শরীরকে অভ্যস্ত করে তুলেছেন চার-পাঁচ ঘণ্টার ঘুমে। দিব্যি কাজকর্ম করে চলেছেন কম ঘুমিয়েই; কিন্তু ক্রমাগত কম ঘুমালে একসময় আপনার চোখে এসব পরিবর্তন আসবেই। আর বাড়বে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও। সুস্থ থাকতে এবং চোখ বসে যাওয়ার সমস্যা মেটাতে আপনাকে রোজ ভালোভাবে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। প্রায়ই কোনো কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে সেটির সমাধানেও যত্নশীল হোন।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপের প্রকট প্রভাব পড়ে চেহারায়। প্রাণবন্ত ভাবটা হারিয়ে যায়। প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় মানসিক চাপ সামলে চলা বেশ কঠিন। তবে মন প্রফুল্ল রাখতে পারলে চোখ বসে যাওয়ার সমস্যা এড়ানো সহজ হবে। নিজেকে ভালোবাসুন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কগুলোকে গুরুত্ব দিন। বন্ধুদের সঙ্গেও সময় কাটান। কারও সঙ্গে নিজের তুলনা না করে জীবন নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকুন।
ওজন ও খাবার
হুট করে বেশ খানিকটা ওজন কমিয়ে ফেললে ত্বক ঝুলে পড়ে, চোখ বসে যায়। খুব ক্লান্ত দেখায়। তাই ওজন কমাতে তাড়াহুড়া করা উচিত নয়। সপ্তাহে আধা কেজি ওজন কমানো যথেষ্ট। এর চেয়ে একটু বেশি কমালেও তা যেন এক কেজির কমই হয়। পানিশূন্যতার কারণেও চোখ বসে যেতে পারে। খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি–অক্সিডেন্টজাতীয় খাবার না থাকলে তার প্রভাবেও চোখের নিচের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে পারে।
থাকুন প্রাণবন্ত
তাজা শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া উচিত রোজ। এ ধরনের খাবার অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের ভালো উৎস। রোজ পানি এবং তরল খাবারও খান পর্যাপ্ত।
ভালো মানের রোদচশমা ব্যবহার করা উচিত।
চোখ বন্ধ করে ঠান্ডা শসার টুকরা চোখের ওপর দিয়ে রাখুন রোজ ১০-২০ মিনিটের জন্য। চোখের বসা ভাবটা কম দেখাবে।
মুখের ত্বকে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
চোখ বসে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলে কিছু সময়ের জন্য উষ্ণ, আর্দ্র টি-ব্যাগ রাখতে পারেন চোখের নিচের অংশে। চোখ বসে যাওয়া ভাবটা কমবে।
অতিরিক্ত চা-কফি খাবেন না।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
শেষ কথা
ডারমাল ফিলার চিকিৎসার মাধ্যমে চোখের বসা ভাবের সমাধান করা যায় ঠিকই, তবে এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। তাই জীবনধারাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। চোখ বসে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে কিংবা সব চেষ্টার পরও চোখের বসা ভাব থেকে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Publisher & Editor