আর দশটা সকাল থেকে ঈদের দিন আলাদা। তাই সেদিন সকালের নাশতাটাও হওয়া চাই অন্য দিনগুলো থেকে ভিন্ন। কিছু খাবার আছে, যা ঈদের দিন আমরা ঐতিহ্যগতভাবেই খেয়ে থাকি, আবার সেখানে যুক্ত হতে পারে নতুন নতুন পদ।
মাংসের উপকরণ: গরুর মাংস ৭৫০ গ্রাম, রসুনবাটা ২ চা-চামচ, আদাবাটা ২ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, টমেটোকুচি সিকি কাপ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা–চামচ, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ, গরমমসলাগুঁড়া সিকি চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, তেল সিকি কাপ, আস্ত কাঁচা মরিচ ৮টি, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: যে হাঁড়িতে রান্না করবেন, সেটি চুলায় দিয়ে পেঁয়াজকুচি ঢেলে কিছুটা ভাজুন। পেঁয়াজ একটু নরম হলে একে একে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে মাংস দিন। জ্বাল কমিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট রাঁধুন। মাঝেমধ্যে ঢাকনা তুলে একটু নাড়ুন। পানি একটু কমে এলে আধা কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল কমে মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখুন। ঝোল মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
খিচুড়ির উপকরণ: পোলাও চাল ৪ কাপ, মুগ ডাল ১ কাপ, মসুর ডাল সিকি কাপ, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, আদাকুচি ১ টেবিল চামচ, এলাচি ৫টি, লবঙ্গ ৩টি, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, রসুনবাটা ১ চা–চামচ, আদাবাটা ১ চা–চামচ, হলুদ ১ চা–চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা–চামচ, জিরাগুঁড়া আধা চামচ, ধনেগুঁড়া আধা চা–চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ১০টি, গরম পানি ১০–১১ কাপ।
প্রণালি: মুগ ডাল সামান্য ভাজুন। একটু রং পরিবর্তন হলে নামিয়ে নিন। ডাল ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। মসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে মুগ ডালের সঙ্গে রাখুন। চাল ধুয়ে চালনির মধ্যে নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি, আদাকুচি ও গরমমসলা কিছুক্ষণ ভেজে নিন। পেঁয়াজে বাদামি রং এলে আদা ও রসুনবাটা দিয়ে একটু নেড়ে সব গুঁড়া মসলা ও লবণ দিন।
মসলা ভালো করে কষিয়ে চাল–ডাল ঢেলে দিন। নেড়েচেড়ে ভালো করে ভাজুন। ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিন। বলক উঠলে আস্ত কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে রাখুন। এবার খিচুড়ির পানি টেনে চাল–ডাল ৯০ ভাগ সেদ্ধ হয়ে এলে রান্না করে রাখা মাংস ঢেলে দিন। আলতো হাতে খিচুড়ির সঙ্গে মাংসটা মিশিয়ে ৫ মিনিট দমে রাখলেই তৈরি।
Publisher & Editor