সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীরা বিপদে পড়তে পারেন

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৩০ মে ২০২৫ | ১০

বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর সেখানে পরিবেশ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটেছে। অরাজনৈতিক অন্তবর্তীকালীন সরকারের শাসনাধীনে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীর অহেতুক হয়রানির শিকারে পরিণত হচ্ছে না।

কেবলমাত্র যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাÑযেমন খুন, লুণ্ঠন ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত তারাই আইনের আওতায় আসছেন। আওয়ামী লীগৈর সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো গ্রেফতার, গুম ও নিপীড়নের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। এখন আর তাদের জন্য বাংলাদেশে ভীতিকর কোনো পরিবেশ বিরাজ করছে না।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে’ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। আর এর জন্য যারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আম্রয় বা অ্যাসাইলামের আবেদন করেছিলেন তাদের কপাল পুড়ছে। ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নিদের মতে, এর মধ্যেই ইমিগ্রেশন কোর্ট অনেক বাংলাদেশির রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।

তাদের মতে, গতবছর বাংলাদেশে ‘জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি পাল্টেছে বলে বদ্ধমূল একটি ধারণা জন্মেছে ইমিগ্রেশন কোর্টের। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ মনে করছেন, বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক হানাহানি নেই বললেই চলে। তাই যারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন, তাদের আবেদন বিবেচনার আর কোনো সুযোগ নেই।’ তারা আরও জানান, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, আবেদনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হিয়ারিংয়ের তারিখ দেওয়া হচ্ছে।

বিদ্যমান রীতি অনুযায়ী ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সাবমিটের সুযোগ না দিয়েই শুনানির তারিখ ধার্য করার ঘটনায় আবেদনকারীরাও হতভম্ব। অথচ এর আগে অ্যাসাইলাম তথা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন সাবমিটের পর বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে শুনানির তারিখের জন্য। কান্ট্রি কন্ডিশনকে গুরুত্ব দিয়ে অ্যাসাইলিদের ভাগ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে, যা কারও জন্যই মঙ্গল হচ্ছে না।

কারণ, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সত্যিকার অর্থে এখন আরও ভয়াবহ। তবে এমন বাস্তবতা বিচার বিভাগকে তথ্য-প্রমাণের আলোকে অবহিত করা হচ্ছে না বলে অনেকেই হতাশ। এ অবস্থায় অনেক আগে যারা আবেদনে উল্লেখ করেছেন যে, দেশে ফিরলেই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অকথ্য নির্যাতন-আক্রমণের ভিকটিম হতে হবে, তাদের আবেদনও এখন আর গুরুত্ব পাচ্ছে না। ফলে হাজারো বাংলাদেশি হতাশার সাগরে ভাসছেন।’

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor