সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১২

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি এখন অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। লন্ডনের বিএনপি ঘরানার দু-একজন নেতা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে এ কথা জানিয়েছেন। তারা সব সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন বলেও জানান।

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইংল্যান্ডের ‘মধ্য-পশ্চিম লন্ডনের’ মেরিলিবন রোডের ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। বিশেষায়িত এই হাসপাতালে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডা. প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা-সংবলিত একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে কাতার হয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় ২টা ৫৫ মিনিটে ও স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনসংক্রান্ত কার্যক্রম শেষ হলে সেখান থেকে সরাসরি তাকে লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হয়।

ক্লিনিকে বিগত সময়ের চিকিৎসাসংক্রান্ত সব রিপোর্ট পর্যালোচনার পর প্রফেসর কেনেডির অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর বুধবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন লন্ডনে অবস্থানরত তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ছেলে তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানের সেবা-যত্নে হাসিখুশিভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানের নিজ হাতে রান্না করা খাবার এবং নাশতা খেয়েছেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালেও তারেক রহমান মায়ের জন্য বাসায় তৈরি করা নাশতা নিয়ে ক্লিনিকে যান।
বর্তমানে লন্ডনে বসবাসকারী বিএনপি ঘরানার একজন সাংবাদিক (তিনি ঢাকায় নাম করা একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টার ছিলেন) বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, খালেদা জিয়া লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর ক্লিনিকের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন দলীয় নেত্রীর সফরসঙ্গী ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সময় দেশের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাকে ১৫ বার এ হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।

ডা জাহিদ জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা সব সময় মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে তার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছেন। কিন্তু তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পথ সুগম হওয়ায় তাকে লন্ডনে এনে এই ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor