যে বাড়ি কবিতা লেখে, তার মুখের মণ্ডলজুড়ে
হেসে থাকে নানা-রং হাসি । যে নদীর নামে যুক্ত
মৃত্যু পরোয়ানা, সে-ও তার চঞ্চল মুহূর্তগুলো
বাড়িটির ডাকঠিকানায় পাঠিয়ে স্বস্তিতে থাকে
অদূর-সুদূর থেকে চলে আসে সদ্যোজাত গাছ
হর্ম্যপ্রাসাদের নানা উচ্চতার সিঁড়ির আদলে
সহজে সাজিয়ে তোলে কৌলীন্যের বৃক্ষপরিবার
ঝাঁক বেঁধে পাখি আসে, সমবেত নাচ আর গানে
এমন মাধুর্যক্ষরা—যেন সুরাশ্রয়ী রবীন্দ্র ঠাকুর
শুদ্ধ করে তাকানোর মতো ছোট্ট স্বচ্ছজলস্থান—
সাঁতারের স্বাদ মেটে। নেমে আসে অখণ্ড আকাশ
সোনালি বৃষ্টির মতো জ্যোত্স্না ঝরে তরল ধারায়
হাতের নাগালে থাকে ছিপিখোলা সুরভির শিশি—
এই হলো বাড়িজুড়ে প্রবাহিত কুসুমের ঘ্রাণ
আঙিনার প্রতি অঙ্গে সবুজের মধ্য অন্ত্যমিল
বাতাসের মন ভালো, চলাচলে অবারিত দ্বার
যে বাড়ি কবিতা লেখে, তার মনের সার্বিক পাশে
সন্তের ধ্যানের মতো মৃদুদৃশ্য আলো জ্বলে থাকে
Publisher & Editor