শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

প্রাণ ফিরে পেয়েছিল মুন থিয়েটার?

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৮

এই সিনেমার কাতালোনিয়া শহরে মানুষ নয়, বসত পশুদের। সেখানে মুন থিয়েটার চালায় বাস্টার নামের এক কোয়ালা। অবশ্য প্রায়ই ব্যাংকের প্রতিনিধি এসে ওকে দেনা শোধ করতে শাসিয়ে যায়। তবু থিয়েটারটা বন্ধ করতে চায় না সে।

কারণ এটা ওর বাবার প্রতিষ্ঠা করা। শেষে থিয়েটারটা চাঙ্গা করতে এক বুদ্ধি আঁটল বাস্টার। স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটা গানের প্রতিযোগিতা করবে। বিজয়ী পাবে এক হাজার ডলার।

ওর সহকারী এক বুড়ি ইগুয়ানা। সে পুরস্কারের অঙ্ক টাইপ করতে গিয়ে দুটো শূন্য বেশি বসিয়ে দিল। তাই দেখে প্রতিযোগীদের লাইন পড়ে গেল। তাদের থেকে পছন্দসই শিল্পীদের বেছে নিল বাস্টার। বিশাল গ্যাংস্টারের ছেলে গরিলা জনি। মাইক নামের একটা ইঁদুর, ও রাস্তায় রাস্তায় গান গায়। শজারু জুটি অ্যাশ আর ল্যান্স এসেছিল। টিকল কেবল অ্যাশ। ওদিকে রোসিতা আর গান্টার নামের দুটো শূকর আলাদা এসেছিল।

ওদের জুটি বানিয়ে দিল বাস্টার। টিকল না কেবল বাচ্চা হাতি মীনা। ওর গানের গলা কিন্তু সবার চেয়ে ভালো। কিন্তু এত লাজুক, মঞ্চে উঠে গাইতেই পারল না। এদিকে বাস্টার জোড়াতালি দিয়ে এক হাজার ডলার জোগাড় করেছিল। এক লাখ ডলার পাবে কোথা থেকে! সে জন্য যোগাযোগ করল ওর বড়লোক বন্ধু ভেড়া এডির সঙ্গে। ওর দাদি নানা ন্যুডলম্যান একসময় থিয়েটারের বিশাল তারকা ছিল। তাকে ধরেই বাজিমাত করতে চায় বাস্টার। কিন্তু নানার যে মেজাজ! এডি নিজেই পারতপক্ষে ওর সামনে যেতে চায় না। তারপর? বাস্টার কি আয়োজনটা করতে পেরেছিল? প্রাণ ফিরে পেয়েছিল মুন থিয়েটার? জানতে দেখতে হবে ছবিটা।
 
সিং

মুক্তির সাল : ২০১৬

পরিচালক : গার্থ জেনিংস

এনিমেটেড চলচ্চিত্র

দেখা যাবে : নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor