বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

মেঘালয়ের ৫টি দর্শনীয় স্থান

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৭

মেঘালয়ের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এই টানেই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটক গিয়ে থাকেন ভারতের এই স্থানে। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অপার সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি এই মেঘালয়। সেখানে যতদূর চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবজু। সেইসঙ্গে পাহাড়ি অঞ্চলের বৃষ্টি আরও বেশি আকর্ষণীয়। সেখানে মেঘেরা আপনার পাশাপাশি ভেসে বেড়াবে যেন! মেঘালয়ে ঘুরতে গেলে দেখতে পারেন ৫টি দর্শনীয় স্থান-

উমিয়াম হ্রদ

বরাপানি হ্রদ কিংবা উমিয়াম হ্রদ। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এক জলাশয় এটি। উমিয়াম নদীতে বাঁধ দিয়ে এই হ্রদের সৃষ্টি হয় ১৯৬০-র দশকে। মেঘালয়ের এই উলিয়াম হ্রদ এক অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। পর্যটকরা কায়াকিং, বাটার সাইক্লিং, স্কুটিং, নৌকা চালানো ইত্যাদির জন্য এখানে ভিড় করেন। এই হ্রদের চারপাশ পাহাড় দিয়ে ঘেরা। বর্ষাকালে এই হ্রদের সৌন্দর্য হয়ে ওঠে নৈস্বর্গিক।

কিলাং রক

শিলং থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কিলাং রক। লাল পাথরের এই শিলা দেখলে যে কেউ চমকে যাবেন। মেঘালয়ের পশ্চিম খাসি পাহাড়ে অবস্থিত কিলাং রক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ মিটার উপরে অবস্থিত। প্রায় ৩৩০ মিটার প্রস্থের এই বিশালাকার শিলাখণ্ড খাসি উপকথার একটি অংশ।

তুরা

নির্মল পরিবেশের কারণে মেঘালয়ের তুরা জুলাই মাস হয়ে ওঠে অন্যতম সেরা পর্যটনস্থল। গারো পাহাড়ে অবস্থিত তুরা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। তুরা থেকে ১২ কিমি দূরে অবস্থান করছে নকরেক জাতীয় উদ্যান। সেখানে সোনালি বিড়াল, লেপার্ড, বুনো মহিষ এবং তিতির পাখি সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখতে পাবেন।

চেরাপুঞ্জি

বিশ্বের দ্বিতীয় সিক্ত স্থান এটি। বছরের প্রায় পুরো সময় ধরেই সেখানে বৃষ্টি হয়। ফলে সারাবছরই থাকে সবুজ। যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তারা চেরাপুঞ্জি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। বর্ষায় এখানে প্রচুর পাখির ডাক শোনা যায়। এসময় সেখানে নদীর পানি বেড়ে যায়। চেরাপুঞ্জির বিখ্যাত গাছের শিকড়ের সেতুর উপর দিয়ে হাঁটলে তা আপনাকে ‍মুগ্ধ করবেই। রবার গাছের শিকড় প্রাকৃতিকভাবে জড়িয়ে এই সেতু তৈরি হয়েছে। চেরাপুঞ্জিতে নৌকাবিহার করার সুযোগ রয়েছে। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ এবং নদীর বুকে নৌকা নিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত।

মসমাই গুহা

মেঘালয়ের প্রাচীন গুহাগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা এই মসমাই গুহা। গুহার ভেতর ছেয়ে থাকা গাছপালা সকলের নজর কাড়ে। গুহার দৈর্ঘ্য মাত্র ১৫০ মিটার। চেরাপুঞ্জির থেকে মাত্র মসমাই গুহার দূরত্ব মত্র ৬ কিলোমিটার। গুহাটি অবস্থিত মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ে।

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor