চলতি মাসের শুরুতেই গ্রিক গণমাধ্যম স্পোর্টএফএমের এক খবর মোটামুটি নাড়িয়েই দিয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবল আঙ্গিনাকে। হামজা চৌধুরীর জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছিল গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস। সেখানে যেতে পারলে হামজাকে দেখা যেতে পারতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় আসরেও। কিন্তু, সেই গুঞ্জনে আপাতত নতুন খবর কমই।
বরং গেল আসরে একেবারেই যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সের পর হামজাকে রেখে দিতে পারে লেস্টার সিটি এমন গুঞ্জনই বাতাসে প্রবল। সবশেষ গতকাল রাতেই হামজাকে দেখা গিয়েছে লেস্টার সিটির প্রথম প্রাক-মৌসুম অনুশীলনে। সঙ্গে ভেসে আসছে কোচ র্যুড ভ্যান নিস্টেলরয়ের বরখাস্তের খবরটাও। ডাচ এই কোচের পরিকল্পনাতে ছিলেন না হামজা, যে কারণে তাকে পাঠানো হয়েছিল ধারে শেফিল্ডের হয়ে খেলতে।
তবে নতুন মৌসুমে ডাচ কোচকে ছাঁটাই করার ভাবনায় আছে দ্য ফক্সেসরা। নতুন মৌসুমে সাত খেলোয়াড়কেও ছাঁটাই করতে পারে দলটি। অন্তত লেস্টারশায়ার শহরের স্থানীয় গণমাধ্যমে সেই খবরই এসেছে। আর তাতে নেই হামজা চৌধুরীর নাম। যদিও এই তালিকায় বিলাল এল-খানুয়েসি, প্রেস্টন ডাকা কিংবা ওয়াইট ফাউসের মতো অভিজ্ঞ তারকাদের নামও আছে।
গোলরক্ষক ম্যাডস হারমেনসন, ডিফেন্ডার বোবাক্যারি সোমার এবং দুই ডিফেন্ডার ইয়ানিক ভ্যাস্টারগার্ড ও হ্যারি উইঙ্কসেরও চলতি গ্রীষ্মেই দল ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লেস্টার মূলত এসব খেলোয়াড় বিক্রি করে পরবর্তী মৌসুমের জন্য নতুন করে স্কোয়াড সাজাতে চায়। তবে বিক্রির তালিকায় আপাতত হামজা নেই বলেই নিশ্চিত করেছে লেস্টারশায়ার লাইভ।
অবশ্য অলিম্পিয়াকোসকেও এখনই ছেঁটে ফেলার অবকাশ নেই। আগামী মৌসুমের জন্য অলিম্পিয়াকোস বেশ আটঘাট বেধেই মাঠে নেমেছে। বর্তমানে আয়াক্স, সাউদাম্পটনে খেলা অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ডুসান টাডিচের জন্যই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দলটি। গ্রিক গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, টাডিচের চুক্তি সম্পন্নের পরেই হামজা সম্পর্কে ভাবনায় যেতে পারে তারা।
সম্ভাবনা আছে শেফিল্ডের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রেও। তবে সেজন্য অবশ্য ক্রিস ওয়াইল্ডারের কোচের পদে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াইল্ডার শেফিল্ডে থাকছেন কি না, সেটার ওপরেই নির্ভর করবে হামজা-শেফিল্ড গুঞ্জন কতটা বাস্তব হতে পারে।
Publisher & Editor