চিড়িয়াখানায় কুমির বা ক্রোকোডাইলের দেখা মিললেও অ্যালিগেটারের দেখা খুব একটা মেলে না। সরীসৃপজাতীয় এই দুটি প্রাণী দেখতে প্রায় এক রকম। তবে এদের মধ্যে তফাত বিস্তর। আর এই পার্থক্য না জানার কারণে অনেক সময় কুমিরের খাঁচায় অ্যালিগেটার ঢুকিয়ে রাখলেও আমরা ধরতে পারি না।
কুমির বা ক্রোকোডাইল সাধারণত বাদামি বা জলপাই সবুজ হয়। অন্যদিকে অ্যালিগেটার দেখতে ধূসর-কালো। অ্যালিগেটারের চেয়ে কুমিরের আকার বেশ বড়। আকারে বড় হওয়ার কারণে ক্রোকোডাইল অ্যালিগেটরের চেয়ে কিছুটা ধীরে চলাচল করে।
মাথার সামনের দিকের অংশ কিছুটা চওড়া থাকে অ্যালিগেটারের, দেখতে অনেকটা ইংরেজি ট-আকৃতির। অন্যদিকে কুমিরের মাথা ওপর থেকে কিছুটা চিকন ও সরু দেখায়, যা কিছুটা ইংরেজি ঠ-আকৃতির। শুধু দাঁতের বৈশিষ্ট্য দেখেও প্রাণী দুটি আলাদা করা সম্ভব। মুখ বন্ধ থাকা অবস্থায় দুই পাশ থেকে শুধু ওপরের পাটির দাঁত নজরে আসে অ্যালিগেটারের।
অন্যদিকে কুমিরের ওপর-নিচ দুই পাটির দাঁতই স্পষ্টভাবে নজরে পড়ে। অ্যালিগেটাররা সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছর বাঁচে, কুমিরের আয়ুষ্কাল প্রায় ১০০ বছর। অ্যালিগেটার মিঠা পানিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও কুমির লবণাক্ত পানি বেশি পছন্দ করে। প্রাণী দুটির মধ্যে আছে বেশ কিছু মিল। দুটি প্রাণীই শীতল রক্তের।
এদের ৬০টির মতো দাঁতের দেখা মেলে। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬০ মাইল পথ সাঁতরাতে পারে। তা ছাড়া পানিতে ডুব মেরে কাটিয়ে দিতে পারে একনাগাড়ে দুই ঘণ্টা।
Publisher & Editor