জীবনে পরিবর্তন ভালো, যদি তা ইতিবাচক হয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে কোনটি আমাদের জন্য ভালো কোনটি নয়, তা বুঝতেই লেগে যায় অনেকটা সময়। ততদিনে হয়তো নিজের অনেক ক্ষতিও আমরা করে ফেলি। বিশেষ করে যার হাতে একটি স্মার্টফোন আছে, তাকে নানা মত বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই নিজের কিছু অভ্যাস প্রতিষ্ঠিত করুন। যেগুলো আপনাকে সুস্থ থাকতে এবং আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো আপনার জীবন বদলে দিতে পারে-
১. চিনিমুক্ত জীবন
চিনি সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া সবচেয়ে ভালো অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি। এর কোনো স্বাস্থ্য উপকারিতা নেই। আপনি যদি চিনি পুরোপুরিভাবে বাদ দিতে পারেন তাহলে অনেকগুলো উপকারিতা মিলবে। শরীরে প্রদাহজনিত বিভিন্ন সমস্যা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রয়োজনীয় সুগার প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবার থেকে গ্রহণ করুন। চিনি খাওয়া বাদ দিলে তা স্বাস্থ্যকর বিপাকে সাহায্য করবে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম
অনেকেই আছেন যারা কিছুদিন ব্যায়াম করে পরে আবার ভুলে যান। এমনটা করা যাবে না। বরং সব সময় ধারাবাহিক থাকুন। ছয় মাস ধরে ব্যায়াম করে পরে আবার ছয়মাস বন্ধ রাখবেন, এমনটা যেন না হয়। সাধারণ ব্যায়ামের পাশাপাশি ভারোত্তোলনও বেশ উপকারী। বিশেষ করে এটি নারীদের জন্য বেশি সহায়ক। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি, বিপাক বৃদ্ধি, সামগ্রিকভাবে বৃহত্তর শক্তি এবং শরীরের গঠন ইত্যাদি সাহায্য করে এ ধরনের ব্যায়াম।
৩. লেখার অভ্যাস
আপনার চিন্তাভাবনাগুলো কাগজে লিখে ফেলুন। একটা খাতা কিংবা ডায়েরি টেনে নিন আর মনে যা কিছু আছে, লিখে ফেলুন। এতে আপনার মনের কথাগুলো যেমন ভাষা পাবে তেমন নিজের একটি স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে। নিয়মিত এভাবে লেখার অভ্যাস থাকলে তা মানসিক চাপ প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। মন খুলে লেখার অভ্যাস আপনাকে পেশাগত জীবনেও সফল করবে।
৪. পড়ার আনন্দ
পড়া কেবল একটি শখ নয়, বরং নিজের বিকাশ ও অপরের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্কের জন্য একটি অপরিহার্য হাতিয়ার। এটি আপনার দিগন্তকে প্রশস্ত এবং ব্যক্তিত্বকে উন্নত করবে। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস থাকলে তখন আপনি সহজেই যেকোনো আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিদিন পড়লে তা আপনার নতুন অন্তর্দৃষ্টির উন্মোচন করবে। এই অভ্যাস শব্দভাণ্ডারকে প্রসারিত করে এবং জানার দুনিয়া বিস্তৃত করে। তখন আপনার সাধারণ কথাবার্তাও অন্যদের কাছে অসাধারণ বলে মনে হবে।
৫. ডিজিটাল ডিটক্স
যদিও এটা কঠিন, কিন্তু মেনে চলতে পারলে পরিবর্তনটা নিজেই টের পাবেন। আপনার স্ক্রিনটাইম কমান। বিশেষ করে ঘুমের আগে এসব দূরে সরিয়ে রাখুন। আপনার ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফোন শোবার ঘর থেকে দূরে রাখুন। ঘুমের ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সবকিছু থেকে বিরতি নিন। এসময় আপনজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, বই পড়তে পারেন। ঘুমের আগে এই ডিজিটাল ডিটক্স ঘুমের মান উন্নত করবে, মানসিক অস্থিরতা কমাবে। আপনজনদের সঙ্গেও সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
Publisher & Editor