বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

হ্যাজেলউড কখনোই ফাইনাল হারেন না– প্রমাণিত

প্রকাশিত: ০৩:২৮, ০৪ জুন ২০২৫ | ১১

শেষ চার বলে হজম করলেন ৩ ছক্কা এবং ১ চার। পুরো ২২ রান হজম করেছেন, তবে তাতে জশ হ্যাজেলউড কিংবা তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মানসিকতায় কোনো পরিবর্তন নেই। বরং অনেকটা হাসিমুখেই ছিল পুরো দল। প্রার্থনা ছিল, কোন নো কিংবা ওয়াইড বল যেন এড়িয়ে চলা যায়। 

হ্যাজেলউড তার মাপা বোলিংয়ে ভুল করেননি। মঙ্গলবারের আইপিএল ফাইনালে শেষ ওভারে ২২ রান দিলেও নিজের কাজটা ঠিকই করে ফেলেছেন ওভারের প্রথম দুই বলে দারুণ দুটো ডট বল করে। আরও বড় করে বললে পুরো আসরে ২২ উইকেট নিয়ে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে প্রথমবার এনে দিলেন আইপিএল শিরোপা। তাতে অনেকের সঙ্গে নাম জড়িয়ে থাকল জশ হ্যাজেলউডের। 

অবশ্য অজি পেসার জশ হ্যাজেলউডের জন্য ফাইনাল জেতা একেবারেই নতুন কিছু না। বরং ফাইনাল জেতাই এই অজি পেসারের অভ্যাস। পেশাদার ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৯ ফাইনাল। জিতেছেন এর সবকটিতেই। যার শুরুটা হয়েছিল ২০১০ সাল থেকে। সেবার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল জেতেন তিনি। 

এরপর ২০১২ সালে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনাল। সারা বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর মাঝে সিডনিকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলেন তিনি। পরের ফাইনাল ২০১৪ সালে। যেখানে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার শেফিল্ড শিল্ড। খেলেছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলসের জার্সিতে। 

২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। ঘরের মাঠে বিখ্যাত এমসিজিতে উঁচিয়ে ধরেছেন বিশ্বকাপের শিরোপা। এরপর ২০২০ সালে সিডনির হয়েই জিতেছেন বিগ ব্যাশের ফাইনাল। আইপিএলের শিরোপায় হাত রেখেছেন ২০২১ সালে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ফাইনাল জেতেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। 

২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। প্রথমবার অজিদের ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাটের শিরোপা জয়ের মুখ্য ভূমিকা ছিল হ্যাজেলউডের। ২০২৩ সালে ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদে ছিলেন দুর্দান্ত। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে ২৪০ রানের মাঝে আটকে রাখার বড় কৃতিত্ব ছিল এই পেসারের।

আর সবশেষ ২০২৫ আইপিএলে আহমেদাবাদের সেই স্টেডিয়ামেই আরও একবার নিজের দলকে জেতালেন শিরোপা। এবার খেলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জার্সিতে। আরসিবিকে প্রথম শিরোপা এনে দেয়ার দিনে নিজের ফাইনাল জেতার রেকর্ডও অক্ষুণ্ণ রেখেছেন ৩৪ বছর বয়েসী এই পেসার। 

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor