ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও একদল ফিলিস্তিনি। মুক্তি পেয়ে নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুর্বিষহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন এসব ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন নারী বন্দিরা। তাদেরকে যৌন হেনস্তার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে রুকাইয়া আমরো নামের এক নারী নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ইসরায়েলিদের আচরণের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি সবশেষ মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের একজন। তার কাছে আলজাজিরার সাংবাদিক আবদেল হামিদ জানতে চান যে, অন্য বন্দিদের মতো তিনিও কারাগারে যৌন হেনস্তার হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন কি না। এর জবাবে তিনি হ্যাঁসূচক উত্তর দেন। তার আগে মুক্তি পাওয়া অন্যরাও একই ধরনের অভিযোগ করেছেন।
রুকাইয়া বলেন, তারা আমাদের বানানো ভিডিও দেখাত। কিন্তু মেয়েরা এসব দেখতে প্রত্যাখ্যান করত। এমনকি ইসরায়েলি গার্ডরা তাদের বলত যে দেখা আমরা তোমার সাথেও এমন করতে চলেছি। এটা এমন সব বিষয়ে যা আমি বলতেও পারব না।
এর আগে বন্দিদের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ করেন ফিলিস্তিনিরা। জেনিনের বাসিন্দা মোহাম্মাদ নাজেল নামের এক তরুণ জানান, সপ্তাহখানেক আগে ইসরায়েলের গার্ডরা পিটিয়ে তার হাত ও আঙুল ভেঙে দিয়েছে। তার অভিযোগ, কারাগারে তাকে ন্যূনতম চিকিৎসাও দেয়নি। কেবল ফিলিস্তিনে হস্তান্তর করার সময় রেড ক্রসের সদস্যরা তার ভাঙা হাত একটি কাপড়ে ঝোলানো অবস্থায় পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা আমাকে কিছুই দেয়নি। ইসরায়েলিরা আমার হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি আঙুল নাড়াতেও পারছি না।
নাজাল বলেন, কারাগারে বন্দিদের অবস্থা শোচনীয়। নেগেভ মরুভূমির যে কারাগারে তিনি ছিলেন সেটি নির্মমতার জন্য কুখ্যাত ছিল। সেখানকার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, সেখানে বৃদ্ধদের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। আমি তরুণ বলে আমি মানিয়ে নিতে পারছি। কিন্তু বৃদ্ধদের কি অবস্থা!
নাজাল যখন অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে তার মা ছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের কোনো ধারণা নেই যে তার সঙ্গে কি ঘটেছে। সেখানে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। দেখাও করা যায় না। কোনো ধরনের কিছুই নেই।
Publisher & Editor