বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

৩৩ বছরের পুরোনো স্মৃতি ফেরানোর দিনে ইউনাইটেডে আমোরিমের প্রথম

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১০

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে ২ মিনিটে এগিয়ে গিয়েও জয়ের দেখা পাননি নতুন কোচ রুবেন আমোরিম। প্রিমিয়ার লিগে ইপসউইচ টাউনের সঙ্গে ইউনাইটেড সেদিন ড্র করেছিল ১–১ গোলে। আমোরিমের অধীন গতকাল রাতে ইউনাইটেড দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইউরোপা লিগে।

নরওয়েজিয়ান ক্লাব বোডো/গ্লিমটের বিপক্ষে এদিন ইউনাইটেড গোল পেল আরও দ্রুত। প্রথম মিনিট পেরোনোর আগেই আলেহান্দ্রো গারনাচোর গোলে এগিয়ে যায় ‘রেড ডেভিল’রা। এর মধ্যে ৩৩ বছর পুরোনো স্মৃতিও ফিরিয়ে আনল ক্লাবটি। ১৯৯১ সালের পর ইউরোপের প্রধান কোনো টুর্নামেন্টে এই প্রথম ১ মিনিট পেরোনোর আগেই গোল পেল ইউনাইটেড। আর নতুন এই মাইলফলক গড়ার পর ইউনাইটেড পেয়েছে ৩–২ গোলের জয়।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেডের জয় অবশ্য একেবারেই অনায়াস ছিল না। এমনকি প্রথম মিনিটে গোল করার পর ২৩ মিনিটের মধ্যে ২–১ গোলে পিছিয়েও পড়েছিল তারা। তবে হাল ছেড়ে দেয়নি আমোরিমের দল। ৪৫ ও ৫০ মিনিটে রাসমুস হইলুন্দের জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ৩–২ গোলের স্বস্তির এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

ম্যাচের ফলই বলে দিচ্ছে, জয় পেলেও এখনো অনেক জায়গায় উন্নতির বাকি আছে দলটির। এমনকি খেলোয়াড়দের সঙ্গেও ঠিকঠাক বোঝাপড়া না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন আমোরিম।

ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমোরিম বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ব, কারণ, আমি জানি না কি হতে যাচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছি না। আমি খেলোয়াড়দের চিনি না। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি, তা–ও নয়। আমরা রোমাঞ্চ নিয়েই ম্যাচ খেলতে নেমেছি। কিন্তু একইভাবে স্নায়ু চাপেও ভুগছিলাম, জানতাম না যে ম্যাচ কোন দিকে যাবে।’

নানা বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও দলের খেলা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কথাও জানিয়েছেন আমোরিম, ‘আমরা ভালোই শুরু করেছিলাম, কিন্তু এরপর দুই গোল খেয়ে ভুগতে শুরু করি। তবে খেলোয়াড়েরা যেভাবে খেলেছে, সেটা আমার ভালো লেগেছে। তারা চেষ্টা করেছে এবং আমার মনে হয় এই জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল।’

এ সময় ইউনাইটেডে এসে নিজের অনুভূতির কথাও জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে সমর্থকেরা তাঁকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন, তাঁকে নিয়ে বানিয়েছেন গানও। এসব ঘটনায় আপ্লুত আমোরিম বলেন, ‘এসব বিশেষ কিছু, কারণ, আমি পর্তুগাল থেকে এসেছি এবং অর্ধেক গ্যালারি আমাকে চেনেও না।’

Mahfuzur Rahman

Publisher & Editor