অক্টোবরে ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমবার তিন অঙ্কের ইনিংস খেলেছিলেন কামরান গুলাম। নেমেছিলেন ৪ নম্বরে, মানে বাবর আজমের জায়গায়। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরি করলেন কামরান, আর সেটা বাবরের জায়গাতেই।
ওয়ানডেতে বাবর ব্যাটিং করেন তিন নম্বরে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কামরানের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সুবাদে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ৯৯ রানে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ওয়ানডে সিরিজ জিতল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
বুলাওয়েতে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান তুলেছিল ৩০৩ রান। জিম্বাবুয়ে ৫৯ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ২০৪ রানে। পাকিস্তানের বোলিং বিভাগ আজ পারফর্ম করেছে মিলেমিশে। ২ উইকেট নিয়েছেন সাইম আইয়ুব, আবরার আহমেদ, আমের জামাল ও হারিস রউফ। একটি করে উইকেট বাঁহাতি স্পিনার ফয়সাল আকরাম ও কামরানের।
জিম্বাবুয়ের হয়ে যা একটু লড়াই করেছেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ৬৩ বলে ৫১ রান করেছেন এই বাঁহাতি। তিনি ছাড়া আরও ৬ জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে গেছেন, তবে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে ব্রায়ান বেনেটের ব্যাট থেকে। তিনি করেছেন ৩৭ রান।
আজ সেঞ্চুরি করা কামরান ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিজ্ঞ কেউ নন। আজকের আগে তিনি খেলেছেন ৬ ম্যাচ, যেখানে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ২ ম্যাচে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন, ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। সে হিসেবে তাঁর অভিষেক গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজে, যে ম্যাচে আউট হন ৫ রানে। এরপর সিরিজের পরের দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসেনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৭ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নামার সুযোগ পাননি কামরান। আজ ৯৬ বলে সেঞ্চুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ৯৯ বলে ১০৩ রানে। কামরানের সেঞ্চুরির আগে ওপেনিং জুটিতে সাইম ও শফিক তোলেন ৫৮ রান। সাইম ৩১ রানে আউট হলেও ফিফটি করেন শফিক। রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে এরপর ৮৯ রানের জুটি গড়েন কামরান। রিজওয়ান করেছেন ৩৭। শেষদিকে ১৬ বলে ২৯* রান করেন তৈয়ব তাহির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৩০৩/১০ (কামরান ১০৩, শফিক ৫০, রিজওয়ান ৩৭; রাজা ২/৪৭, এনগারাভা ২/৫৫)
জিম্বাবুয়ে: ২০৪/১০(আরভিন ৫১, বেনেট ৩৭; সাইম ২/২৯, আবরার ২/৪৫)
ফল: পাকিস্তান ৯৯ রানে জয়ী
সিরিজ: পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী
Publisher & Editor